নয়াদিল্লি: ভুতুড়ে ভোটার (Fake Voter) নিয়ে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের কর্মিসভা (Trinamool Committee) থেকে এক এপিক নাম্বারে (Epic Number) আর এক জনের ভোটার কার্ড (Voter Card) রয়েছে বলে সোচ্চার হন তৃণমূল সুপ্রিমো (Trinamool supremo) । সকলের সামনে সেই তালিকাও প্রমাণ সরূপ তুলে ধরে পরোক্ষ ভাবে নির্বাচনে কারচুপি করেই যে বিজেপি জিতছে সেই কথাই প্রকান্তরে বুঝিয়ে দেন তিনি। এর পরে নড়েচড়ে বসে কমিশন (Election Commission)।
এক এপিক নাম্বার মানে যে ভুয়ো ভোটার নয়, সেটি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয় কমিশন। কিন্তু কমিশনের এই বক্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ বাংলার শাসক দল। এর পরেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে সব সিইও দের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। বাংলার সিইওকে সমস্ত নথি নিয়ে দফতরে আসার কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: এপিক নাম্বার এক মানেই ভুয়ো ভোটার নয়, বিবৃতি দিল নির্বাচন কমিশন
সেই বৈঠক থেকেই এবার দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-সহ নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির কথা শুনতে বলা হয়েছে। তাদের সমস্ত কথা শুনে বিস্তারিত রিপোর্ট আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar)।
মঙ্গলবার দিল্লিতে আইআইআইডিইএম-এর (ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট) দফতরে দু’দিনের বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জ্ঞানেশ কুমার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে নিযুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম বৈঠক তাঁর।
রবিবার কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট ভোটার মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। ইসি আরও জানিয়েছে EPIC নম্বর “অভিন্ন হতে পারে’ কিন্তু জনসংখ্যার বিবরণ, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র সহ অন্যান্য বিবরণগুলি আলাদা।
নির্বাচনী প্যানেল অনুযায়ী, এপিক নাম্বার অনুযায়ী একজন ভোটার শুধুমাত্র তাদের রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তাদের মনোনীত ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন যেখানে তারা ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অন্য কোথাও নয়। কিন্তু তৃণমূল কমিশনের এই দাবিকে সমর্থন করতে নারাজ। রাজ্যের শাসকদলের পাল্টা দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ‘ভুলের দায়’ স্বীকার করতে হবে কমিশনকে। সেই আবহে মঙ্গলবার সিইও, ডিইও-দের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জ্ঞানেশ কুমার।
সেইখানেই উপরিউক্ত নির্দেশ দিলেন তিনি। বৈঠকে জ্ঞানেশ কুমার সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানো নিয়েও কিছু বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সি প্রত্যেক নাগরিক যাতে ভোটে দিতে পারেন, তা সিইও, ডিইও-সহ কমিশনের আধিকারিকদের নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে দেখতে হবে, কমিশনের কোনও আধিকারিককে যাতে কেউ ভয় দেখাতে না পারেন। প্রত্যেক বুথে ৮০০ থেকে ১,২০০ ভোটার, ভোটারদের বাসস্থানের ২ কিলোমিটারের মধ্যে বুথ রাখা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: