নয়াদিল্লি: পহেলগামে জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় ৭ মে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে মোদি সরকার। ২৬ ভারতীয় মেয়ের সিঁদুরের মুছে যাওয়ার বদলা নিতে ভারত সরকারের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হেনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। এই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সমস্ত দলকে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meeting) ডাক দেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের ‘ঐক্যবদ্ধ থাকার’ বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ ১০০-রও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরে নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না মোদি। স্বাভাবিকভাবেই ফের প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস।
এদিন সংসদের গ্রন্থাগার ভবনে সর্বদলীয় এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেন। ছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা উপস্থিত ছিলেন। পহেলগামে বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার মধ্য়রাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই অপারেশন সিঁদুর নিয়েই দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে অবহিত করে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বালাকোট থেকে ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ মোদির ‘মঙ্গল’ প্রতিশ্রুতি
সূত্রের খবর বিরোধীদের অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে সব তথ্য দিচ্ছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। তবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকলেও তিনি নিজের বার্তা পাঠিয়েছেন রাজনাথ সিংয়ের মাধ্যমে। সূত্রের দাবি, বৈঠকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সে কথা জানিয়েছেন। বৈঠকের আগেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করছেন মোদি। সূত্রের খবর, সর্বদল বৈঠকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে কী ভাবে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। এই হামলার পর যে কোনও সময় পাক হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে বৈঠকে উপস্থিত সকলকে সেনার সাহসিকতার বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, “যা বললেন, আমরা শুনলাম। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু জিনিস গোপন রাখতে হচ্ছে। সকলেই সরকারকে সমর্থন জানিয়েছি। দেশের স্বার্থে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি আমরা।”আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, “ভারতীয় সেনার প্রশংসা করেছি, সরকারের প্রশংসা করেছি।
অন্য খবর দেখুন