ওয়েবডেস্ক- বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ, ভোটব্যাঙ্ক একটি জামাতের সরকারে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস (Tmc) ১০০ শতাংশ সাম্প্রদায়িক দল (Communal party) । যে হিন্দুরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট (Vote) দেয়, তাদের সাথে থাকে তারাও এই পাপের ভাগী। তৃণমূল কংগ্রেস সহ বাংলার সরকারকে নিশানা করে আক্রমণ শানালেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP President Sukanta Majumdar) । হিন্দু মুসলিম ইস্যুতে তুলে ফের বাংলার সরকারকে আক্রমণ করলেন তিনি।
রবিবার বঙ্গ সফরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। একাধিক ইস্যুতে বাংলার সরকারে তুলোধোনা করেন তিনি। দলের রাজ্য, জেলা এবং মণ্ডল স্তরের নেতাদের ভোট–যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে শাহ বলেন, ‘২০২৬ -এর ভোটে বিজেপি সরকার গড়বে। দিদির জমানা শেষ হয়ে গেছে। ২৬-এ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। অমিত শাহের দূরদর্শীতা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না।
আরও পড়ুন- ক্ষমতা থাকলে রিগিং ছাড়া ভোট করিয়ে দেখান, শাহী হুঙ্কার
আগামী বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানত জব্দ হবে বলেও দাবি করেও শাহি হুঙ্কার ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গলা থেকে। অমিত শাহ বলেন, দিদি হিম্মত থাকলে র্যাগিং ছাড়াই নির্বাচন করে দেখান। আপনার নিজের জমানতই জব্দ করে দেবে বাংলার জনতা। মা মাটি মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এই সোনার বাংলাকে অনুপ্রবেশ, দুনীর্তি, মহিলাদের উপর অত্যচার, হিন্দুদের নিপীরণের কেন্দ্র তৈরি করেছেন। গণতন্ত্রে হিংসা কাম্য নয়। এই সোনার বাংলাকে তছনছ করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাদিদির শাসনে এসএসসি দুর্নীতি, ডিয়ার লটারির দুর্নীতি, মনরেগা দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাসে দুর্নীতি, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, পুর নিয়োগে দুর্নীতি, জিটিএ দুর্নীতি এবং গরুপাচারের দুর্নীতি হয়েছে। রয়েছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট, যারা হাজার হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের প্রধান এজেন্ডা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন। বিজেপির এই ইস্যুর দিকে একাধিকবার সুর তুলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলেছেন, ধর্ম ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বাংলায় তিনি বিভাজনের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না।
দেখুন ভিডিও-