ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েল-গাজা (Israel-Gaza) যুদ্ধের দুই বছর পূর্ণ হল। দীর্ঘ ২৪ মাসের সংঘাতে গাজা কার্যত বিপর্যস্ত, বহু মানুষ ঘরছাড়া, এবং অনাহার ও অপুষ্টিতে শিশু মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শান্তি পরিকল্পনার আওতায় স্থানীয় সময় সোমবার মিশরের একটি রিসর্টে আলোচনায় বসেছেন ইজরায়েল ও হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিরা।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা দুই বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর আগেও ইজরায়েল-হামাস একাধিকবার আলোচনায় বসেছে, কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। গত সপ্তাহে ট্রাম্প একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব দেন। ইজরায়েলের পক্ষ তা প্রথমে মেনে নেয়, তবে হামাস প্রাথমিকভাবে কোনও উত্তর দেয়নি। ট্রাম্প সময়সীমা নির্ধারণ করে বলেন, দ্রুত উত্তর না দিলে ফল ভোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিদেশ সচিব
মিশরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইজরায়েলের রন ডার্মার (শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী), হামাসের খলিল আল হায়া, আমেরিকার স্টিভ উইটকফ এবং জেয়ার্ড কুশনার (ট্রাম্পের জামাই)। মিশরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়, দীর্ঘক্ষণ চলা আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগিয়েছে। যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা-সহ প্রথম পর্যায়ের প্রায় প্রতিটি শর্তে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। তবে গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং হামাসের অস্ত্র ত্যাগ বিষয়ে এখনও আলোচনা বাকি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল থেকে আলোচনার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
ইজরায়েল চেয়েছে, জীবিত যুদ্ধবন্দি মুক্তি, মৃতদেহ হস্তান্তর, এবং হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। বন্দি মুক্তি নিয়ে উভয় পক্ষের প্রাথমিক সম্মতি হয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য ইজরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং সম্মতি মিলেছে। মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ৩ দিনের মধ্যে বাকি ৪৮ জন বন্দি মুক্তি পাবে হামাসের পক্ষ থেকে। তবে অনুমান, এদের মধ্যে মাত্র ২০ জন বেঁচে আছেন।
মিশরে আলোচনার ফলে গাজায় দ্রুত শান্তি ফেরার আশাবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ত্যাগ ও বাকি শর্তগুলি নিয়ে আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত শান্তি এখনও অনিশ্চিত।
দেখুন আরও খবর: