ওয়েব ডেস্ক: ভাসছে উত্তরবঙ্গ, গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের। নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়াফলায় বিদ্ধ উত্তরের ৫ জেলা। দার্জিলিং সহ পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা ও দুই দিনাজপুরে। অতিবৃষ্টির আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা এবং সিকিমের মঙ্গনে লাল সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। অতিবৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে উত্তরবঙ্গের বহু নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে উত্তর সিকিমের মঙ্গন। ইতিমধ্যেই চুংথাং এলাকায় রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে। লাচুংয়ে আটকে পড়েছেন কয়েকশো পর্যটক।
অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে আগে বর্ষার আগমন ঘটেছে। দশদিন আগেই বর্ষা ঢুকেছিল উত্তরবঙ্গে। অনুকূল পরিস্থিতিতে ২৯ মে পর্যন্ত এগিয়ে আপাতত থমকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর উত্তরাংশ। উত্তর সিকিমেও অতিবৃষ্টি, ফুঁসছে তিস্তা (Teesta Increasing Water Lavel)। তিস্তার রোষে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের চুংথাং। দুর্যোগে বিধ্বস্ত সিকিম। মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান এবং দফায় দফায় ধস জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে। উত্তর সিকিমে পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার জল। লাচুংয়ে আটকে পড়েছেন কয়েকশো পর্যটক। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। তিস্তা নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে সিকিমের সিংতামের সিরিয়ানি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পের বাঁধের একাংশ ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
সূত্রে জানা গিয়েছে, রংপো, তিস্তাবাজার ও সিংতামে তিস্তার জলস্ফীতি প্রায় আড়াই মিটার বেড়েছে। সিকিম রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে সরে আসার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজার এলাকাতেও কয়েকশো পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে সরকার ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে ব্লকস্তর পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তিস্তা। ক্রমশ তিস্তার জলস্তর বাড়ছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। সেখানে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে ৭৮টি পরিবার।
অন্য খবর দেখুন