কলকাতা: ইএম বাইপাসে (EM Bypass Murder) আক্রান্ত তরুণীর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। বাইপাসে তরুণীকে খুন কী ভাবে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে, এই খুনের নেপথ্যে পরকীয়ার থাকতে পারে। তার প্রতিশোধ নিতেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্ত এক মহিলা এবং নাবালক-সহ মোট তিন জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালককে আটক করা হয়েছে।
ইএম বাইপাসে (EM Bypass) রাস্তায় তরুণীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পরপর কোপ। গাড়ি থেকে নামতেই ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাড়া। গলাতেও কোপ মারা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণের সময়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। পিছন থেকে তরুণীর হাতে পরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ। ওয়াসিম পিছন থেকে তিনি তরুণীকে ধরে রেখেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর শরীরে একাধিক বার কোপ মারে ফারুকের পুত্র। গুরুতর আঘাত গলাতেও। পরবর্তীতে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে মৃত্যু হয় তরুণীর। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ আর্সালাম, শাহজাদি ফারুকি ও ওয়াসিম আক্রম। মৃতার সঙ্গে ওই নাবালকের বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজো না করতে দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা
ফারুকের স্ত্রী ও ১৬ বছরের পুত্র তাঁর ‘প্রেমিকা’কে খুনের পরিকল্পনা করেন। বাবার উপর নজর রাখতে শুরু করে নাবালক। তারই বৃহস্পতিবার রাতের তরুণীকে হত্যা করেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গাড়ির কোথায় কোথায় যাচ্ছে তা জানত নাবালক। জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে বাবার গাড়িকে অনুসরণ করতে অসুবিধা হয়নি নাবালকের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফারুক এবং রফিয়া রাত ৯টার কাছাকাছি বাইপাস ধাবার কাছে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। চারচাকার গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন দু’জন। তাঁদের অনুসরণ করতে করতে পিছনে আসে আরও একটি গাড়ি। গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ফারুক। তারা তরুণীকে আক্রমণ করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ফারুক। তাঁরা যে গাড়িতে এসেছিলেন, তার চালকও সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এনআরএস হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আপাতত তিন অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে। তরুণীর সঙ্গে গাড়িতে নাবালকের বাবা ফারাক আনসারি ছিলেন না তরুণী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কোথাও যাচ্ছিলেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তবে পুলিশ ওই ব্যক্তিকেও খুঁজছে বলে সূত্রের দাবি।
অন্য খবর দেখুন