ওয়েব ডেস্ক: উইম্বলডনের গ্যালারিতে তাঁদের দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবছরই হয়তো অবসর জীবনে পা দেবেন; কিন্তু ২০২৫ শেষ হতে হতে সেই জল্পনাটাই উল্টে দিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। হিটম্যানের হাতে আরেকটা বিশ্বকাপ দেখতে চায় ভারতের সিংহভাগ ক্রিকেট সমর্থক, এদিকে ভক্তকূলকে বাদ দিলেও অনেক প্রাক্তনীও এখন চাইছেন, অবসর (Retirement) ভেঙে টেস্ট খেলুক বিরাট। আসলে এই একটা বছর দুই কিংবদন্তির গুরুত্ব বুঝিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেটকে। অবসরের চাপ নয়, ‘রো-কো’ জুটিকে হাত খুলে খেলার ছাড়পত্র দিল ২০২৫।
২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপ জয় যতটা আনন্দের ছিল, ততটাই ছিল মন খারাপের। বিশ্বজয় করে টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। তারপর টেস্ট ক্রিকেটেও ছন্দ হারান রোহিত। রানের খরা শুরু হয় বিরাটের ব্যাটেও। আচমকা ২০২৫-এর জানুয়ারিতে ঘোষণা করেন, তিনি শুধুমাত্র ওডিআই ফরম্যাটেই খেলবেন। পরে মে মাসে চাপে পড়ে টেস্ট থেকে অবসর নেন রোহিতও। ২০২৪-এর ডিসেম্বরেই যে সকলের অজান্তে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলে ফেলেছেন, তা হয়তো রোহিত নিজেও জানতেন না।
আরও পড়ুন: শচীনকে টপকাতে দরকার মাত্র ২৫! কোহলির মহারেকর্ড ২০২৬-এই?
কিন্তু রোহিত-বিরাটের আচমকা অবসরে ভারতীয় টেস্ট দলের কঙ্কালসার চেহারাটা সামনে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটের সিরিজে চুনকাম হওয়াটা যেন একটা এক্স-রে প্লেট ধরে দেয় টিম ইন্ডিয়ার সামনে। ব্যাটিং অর্ডারের ওপেনিং এবং তিন নম্বরে দুই কিংবদন্তির গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পায় বোর্ড। সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দেয় প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ। সেই সিরিজে চূড়ান্ত ফর্মে দেখা যায় রোহিত, বিরাটকে। তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রানের ফুলঝুরি ফোটে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজেও চূড়ান্ত ফর্মে ধরা দেয় ‘রো-কো’ জুটি।
এদিকে ২০২৫-এর শেষে দেশের মাটিতে বিজয় হাজরে ট্রফিতেও বেশ ভালো রান পান তিনি। জয়পুরে ঝরঝরে সেঞ্চুরি হাঁকান রোহিত, কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি না এলেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, রানে আছেন, ফর্মে আছেন। সব মিলিয়ে এই বছরটায় রোহিত ও কোহলি ক্রিকেটের একটা ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও আরও একটা ফরম্যাটে দাপট দেখালেন। হাজারো কটাক্ষ, সমালোচনার মাঝে বুঝিয়ে দিলেন, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
দেখুন আরও খবর:







