ওয়েব ডেস্ক: ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwari) আন্তর্জাতিক কেরিয়ার বেশ সংক্ষিপ্ত। অনেকেই মনে করেন, যতটা সুযোগ তাঁর পাওয়া উচিত ছিল, তা পাননি। মনোজ নিজেও মনে করেন, অন্যায় হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তবে একজনের প্রতি চির-কৃতজ্ঞ তিনি। তিনি আর কেউ নন, বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Virender Sehwag)।
বাংলা এবং জাতীয় দলের প্রাক্তন সদস্য মনোজ জানিয়েছেন, একবার তাঁকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নিজে বসে গিয়েছিলেন সেওয়াগ। বীরুর সেই আত্মত্যাগ তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছিল বলেও জানান তিনি। ভারতের হয়ে প্রথম পাঁচটি ওডিআইতে মনোজের রান ছিল— ২, ২, ২২, ১১ এবং ২৪। এরপরেই আসে শতরান।
আরও পড়ুন: সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে বাগানের আজ বদলার ম্যাচ
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “সেওয়াগ আমার আদর্শ। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি তাঁর প্রতি ঋণী থাকব। কারণ তিনি যদি নিজেকে না বসাতেন তাহলে আমার জীবন অন্যরকম হত… বীরু ভাই দেখছিলেন যে আমি ঠিকমতো সুযোগ পাচ্ছিলাম না, কিংবা ব্যাটিং অর্ডারে এদিক-ওদিক করা হচ্ছিল। কখনও আচমকাই ওপেন করানো হচ্ছিল, আবার কখনও পাঁচ নম্বরে নামানো হচ্ছিল, তিনি বুঝতে পারছিলেন যে আমার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছিল।”
“সেই সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বীরু ভাই। তিনি গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) বলেন যে আমাকে খেলানো উচিত এবং চার নম্বরে নামানো উচিত। বাসে আমাকে বীরু ভাই জিজ্ঞাসা করেন আমি কত নম্বরে ব্যাট করতে চাই। আমি বলি যে দেশের জন্য যে কোনও পোজিশনে খেলতে রাজি। এরপর জোর করায় আমি বলি যে সবসময় চার নম্বরে ব্যাট করে এসেছি। সে কথা তিনি গম্ভীরকে বলে দেন।”
পরের ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম তিন বলে দুই উইকেট চলে যায় ভারতের। প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজিঙ্ক্য রাহানে এবং পার্থিব প্যাটেল। সেকেন্ড ডাউনে নেমে দুর্দান্ত শতরান করেন মনোজ এবং সেদিন ম্যান অফ অফ ম্যাচ হন।
দেখুন অন্য খবর: