ওয়েব ডেস্ক: সোমবার ফুরফুরা শরিফে (Furfura Sharif) গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানেই ইফতার পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ফুরফুরায় ঢোকার আগে পির আবু বক্কর সিদ্দিকির মাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এক খাদ্যদ্রব্য বিক্রেতার সঙ্গে কথা হল তাঁর, বিক্রেতাকে খাবার ঢেকে রাখার সুপরামর্শও দেন তিনি।
মাজারে ঢোকার মুখে ইসমাইল মুফতি নামে এক প্রবীণ মানুষ বিক্রি করছিলেন মোরব্বা, গজা, হালুয়া। তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক বাক্য বিনিময়ের পর মমতা বলেন, “ঢাকা দিয়ে বিক্রি করুন। ধুলো উড়ছে, মাছি বসছে।” ১৫ বছর ধরে ওই মাজারে খাবার বিক্রি করা মুফতি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি মোরব্বা খেতে চাইতেন তাহলে অবশ্যই দিতেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে যাত্রা মঞ্চেই জীবন ত্যাগ শিল্পীর
প্রসঙ্গত, ১০ বছর পর ফুরফুরা শরিফে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর সেখান থেকেই ইফতারের পর দেন সম্প্রীতি-ঐক্যের বার্তা। তিনি বলেন, “বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। আমি রাজ্যের সব ধর্মাবলম্বীর উৎসবে শুভেচ্ছা জানাই। এমনকী সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠানেও যাই, অভিনন্দনও জানাই। সেখানে এত প্রশ্ন তোলার কী আছে?”
এদিকে বিরোধী দলের মনে হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর একদশক পর ফুরফুরায় যাত্রা শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু তা যে নয় তা প্রমাণিত হল সোমবারের ইফতার পার্টি (Iftar Party) থেকেই। কারণ অনেকেই ভেবেছিলেন সেখানে উপস্থিত হবেন ভাঙড়ের বিধায়ক এবং আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হননি নওশাদ।
দেখুন অন্য খবর: