কলকাতা: মালদহে তৃণমূল নেতা খুনে (Trinamool leader Killed in Malda) গ্রেফতার আরও ২। তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার ওরফে দুলাল খুনের (Dulal Sarkar Murder Case) ঘটনায় গ্রেফতার দলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে (Narendranath Twiri)। ঘটনায় ওষুধ ব্যবসায়ী স্বপন শর্মাকেও গ্রেফতার করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৭। গত ২ জানুয়ারি মালদার ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়ায় নিজের কারখানার কাছেই খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রাণ বাঁচাতে কারখানায় ঢুকে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তারপর থেকেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। কেন খুন হলেন মালদহের দাপুটে তৃণমূল নেতা?
বুধবার পুলিশের জালে আরও দুই। গ্রেফতার তৃণমূল টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও ওষুধ ব্যবসায়ী স্বপন শর্মা। এরাই মূলচক্রী বলে এদিন দাবি করলেন সুপ্রতিম সরকার। তিনি জানিয়েছেন, ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল দুলাল সরকারকে খুন করার জন্য। গ্রেফতার হওয়ার পর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি দাবি করেন, ‘আমি নির্দোষ, খুনের নেপথ্যে অনেক বড় মাথা রয়েছে। তাঁর কথায়, গোটাটাই চক্রান্ত। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। বাবলা সরকারকেও খুন করেছে বড় মাথা।
আরও পড়ুন: দিনহাটার বাসন্তীরহাটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ
এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে মোট গ্রেফতার ৭। ২ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিলবিহারের বাসিন্দা সামি আখতার, মহম্মদ আবদুল গণি, মালদহের বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষ। ৩ জানুয়ারি মালদহের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ, অমিত রাজাক গ্রেফতার হয় এই ঘটনায়। ৮ জানুয়ারি এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, ওষুধ ব্যবসায়ী স্বপন শর্মা। হামলার সময় আততায়ীরা সেই বাইকে এসেছিল সেই বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। খুনের মূল দুই অভিযুক্ত যাদের খোঁজ পেতে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছিল পুলিশ, তারা এখনও ফেরার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা গত প্রায় ১০-১৫ দিন ধরেই দুলাল সরকারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল।
অন্য খবর দেখুন