বর্ধমান: এক দিন ছেলেটা বর্ধমান (Bardhaman) জেলার প্রত্যন্ত ভাতারের (Bhatar) খেলার মাঠে প্র্যাকটিস করত। তার একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যেত সবাই। কোনও প্রতিবন্ধকতা তার কাছে বাধা হয়নি। তফশিলি উপজাতি পরিবারের সেই ছেলেটা এখন শুধু ভাতার বা বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলারই নয় সারা রাজ্যের গৌরব। তিনি বাংলাকে দেশের সেরা করা ফুটবলার রবি হাঁসদা (Rabi Hansda)। বর্ষবরণের রাতে ৭৮ তম সন্তোষ ট্রফি জয়ের এই নায়কের গোলেই ৩৩ বারের জন্য জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলা। হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়াম থেকে ক্রীড়া ভাষ্যকারের মুখে ইংরেজিতে বারবার রবি হাঁসদার সাফল্যের কথা শুনে চোখে জল এসে গিয়েছিল ভাতারবাসীর। কেরল বধের নায়ক রবিবার ঘরে ফেরেন। গাঁয়ের সেই ছেলেটাকে দেখতে রবিবার ভাতারের আলোক মাঠে ভিড় উপচে পড়ে। গ্রামের মানুষ তাঁকে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। এদিন ভাতারে রবিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সন্তোষ ট্রফি জয়ের নায়ক রবিবার তাঁর গ্রাম মঙ্গলকোটের মুসারুতে ফেরেন। এরপর তিনি ভাতার আসেন। যখন খেলা প্র্যাকটিস করতেন তখন ভাতারের একটি সংস্থা তাঁকে সাহায্য করত। সেই সাহায্যকারী সংস্থার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে খুশি বলে জানালেন রবি। তাঁকে বিশেষ সম্মান জানানো হয় ফুটবল, ট্রফি, ফুল দিয়ে। সঙ্গে ছিলেন রবির স্ত্রী, কন্যা, মা। সবাই রবিকে পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন: চাপে পড়ে গাভাসকরের কাছে ক্ষমা চাইল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া!
বর্ধমান সোনার ধানের জন্য বিখ্যাত। ভাতারের সোনা ক্রীড়া মানচিত্রে ভাতে বাড়ুক। দেশকে গৌরবান্বিত করুক, এখন এমনটাই প্রার্থনা এলাকাবাসীর। তাঁদের কথায়, যে আলোক মাঠে খেলত ছোট্ট রবি। সেখানে তখনও শুধুই ফুটবল খেলা হত। ফুটবলও তখনও বাঙালির রক্তে। পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলার চল ছিল। সেখানে একটি কোচিং সেন্টারও ছিল। অন্য খেলা হলেও সব খেলার সেরা ছিল ফুটবলই।
দেখুন অন্য খবর: