ওয়েব ডেস্ক: আজ নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Basu) ১২৮তম জন্মজয়ন্তী। দেশজুড়ে দেশনায়ককে সম্মান জানানো হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এরই মাঝে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) একটি পোস্টকে ঘিরে তৈরী হয়েছে এক নতুন বিতর্ক। আসলে নেতাজিকে সম্মান জানাতে গিয়ে কটাক্ষের শিকার হলেন সংসদের বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল (Trinamool Congress) থেকে বিজেপি (BJP) এবং ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Block)- কোনও দলই রাহুলকে নিশানা করতে ছাড়েনি। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে কী এমন বিতর্কিত কথা লিখেছেন রাহুল গান্ধী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে নেতাজির একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “মহান বিপ্লবী, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু’জি-র জয়ন্তীতে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির নেতৃত্ব, সাহস, সামাজিক ন্যায়ের জন্য ওঁর লড়াই, সহনশীলতা ও সবাইকে নিয়ে চলার প্রতি তাঁর অবদান আজও সব ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে। ভারতমাতার অমর পুত্রকে আমার সাদর প্রণাম জানাই। জয় হিন্দ।” তবে এই পোস্টে তিনি নেতাজির জন্ম তারিখের পাশাপাশি মৃত্যুর তারিখও উল্লেখ করেছেন। ১৮ আগস্ট, ১৯৪৫ দিনটিকে তিনি নেতাজির মৃত্যুদিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
महान क्रांतिकारी, आज़ाद हिंद फौज के संस्थापक नेताजी सुभाष चंद्र बोस जी की जयंती पर उन्हें भावपूर्ण श्रद्धांजलि।
नेताजी का नेतृत्व, साहस, सामाजिक न्याय के लिए उनका संघर्ष, सहिष्णुता और समावेशिता के प्रति उनका योगदान आज भी हर भारतीय को प्रेरित करता है।
भारत माता के अमर सपूत को… pic.twitter.com/Fa2CTUu9BL
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 23, 2025
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার এই গ্রামের ঠাকুরঘরে আজও পুজো পায় নেতাজির চেয়ার
যেহেতু নেতাজির মৃত্যুর স্বপক্ষে এখনও কোনও অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই এখনও নেতাজির অন্তর্ধান একটি রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধীর পোস্টে নেতাজির মৃত্যুর তারিখ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সংসদের বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতার মতো পদে বসে থাকা ব্যক্তি যে কাজ করলেন, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। গোটা দেশের কাছে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
এদিকে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “ক্ষমা শব্দটা ব্যবহার করছি না। তবে রাহুল গান্ধীর উচিত নিজের বক্তব্য সংশোধন করা।” পাশাপাশি ফরওয়ার্ড ব্লক চেয়ারম্যান নরেন চট্টোপাধ্যায় রাহুল গান্ধীকে ‘অর্বাচীন’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, “রাহুল গান্ধী অর্বাচীনের মতো মন্তব্য করেছেন। ওঁকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, কীভাবে জানলেন নেতাজি ওই দিন মারা গিয়েছিলেন, উনি উত্তর দিতে পারবেন না।”
দেখুন আরও খবর: