ওয়েব ডেস্ক: এক জন লক্ষ্মী, অন্য জনের ভাণ্ডার। একের টাকা ঢুকছে অন্যের অ্যাকাউন্টে (Bank Account)। মাসের পর মাস টাকা না পেয়ে শেষে ব্যাঙ্কের উদ্যোগে হাসি ফুটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাটিয়ারি গ্রামের গৃবহধূ অঞ্জনা চক্রবর্তীর মুখে। হাতে পেয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) বকেয়া টাকা। কিন্তু তারপরেও কাঁটা রয়ে গিয়েছে। সমস্যা সেই তিমিরেই।
মাসের পর মাস টাকা না পেয়ে শেষে বিডিও-র দ্বারস্থ কৃষ্ণগঞ্জের মাটিয়ারি গ্রামের গৃহবধূ অঞ্জনা চক্রবর্তী। বিডিও অফিস তাঁকে জানায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হয়ে গিয়েছে এবং টাকাও পড়ছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। কিন্তু বাস্তবে সে টাকা না পেয়ে আবার যান কৃষ্ণগঞ্জ বিডিও অফিসে। এ বারও সেই একই বয়ান। রেজান্টও একই। এর পরে অঞ্জনাদেবী বানপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও কোনও সুরাহা না মেলায় হতোদ্যম হয়ে পড়েন মাটিয়ারির গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ ‘দুয়ারে হাসপাতাল’, কী কী সুবিধা থাকছে?
এর মধ্যে দু’বছর পেরিয়ে যায়। শেষমেষ অঞ্জনাদেবীর নাছোড় আবেদনে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন, গেদের শ্যামলী মহলদারের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে অঞ্জনাদেবীর টাকা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার মধ্যস্থতায় শ্যামলীদেবী তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দু’বছরের ২১ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দেন অঞ্জনাদেবীর হাতে।
এর পর দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে ভুল সংশোধনের আবেদন করেন অঞ্জনাদেবী। আশ্বাসও পান। কিন্তু তারপরেও যে কে সেই। অঞ্জনাদেবীর টাকা ঢুকছে শ্যামলীদেবীর অ্যাকাউন্টে।
দেখুন আরও খবর: