ওয়েব ডেস্ক: বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভারতে পালিয়ে আসার পর উচ্চপর্যায়ে এই প্রথমবার ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল। বাংলাদেশে গত পাঁচ অগাস্টের পর থেকে সংখ্যালঘুদের (Minority) উপর নির্যাতন বেড়েছে। বুধবার বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওলাটজ ও সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বিদেশমন্ত্রীর। সাংবাদিকদের বিদেশমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিশদে বলা ঠিক হবে না।
এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু উঠে এসেছে। তবে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী বিষয়টি খোলসা না করলেও মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি উঠে এসেছে। বিশেষ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জো বাইডেনের সঙ্গে মহম্মদ ইউনুসের সম্পর্ক ভালো। ডেমোক্র্যাট শিবিরের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় চাপে রয়েছেন ইউনুস। তার মধ্যে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে হওয়া কথা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কী কথা সেই বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক বা আমেরিকার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া দিতে গণ্ডগোল, মালদহে বিএসএফ ও বিজিবির বৈঠক
হাসিনা সরকারের পতনের জন্য জো বাইডেন সরকার ও পাকিস্তানের হাত দেখেছিলেন একাংশ। কারণ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকাকে না দেওয়াতে বাইডেনের গোঁসা হয় বলে হাসিনার দল আওয়ামি লিগের অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। তাছাড়া নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে আমেরিকার ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রেসিডেন্টদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সর্বজন বিদিত। রিপাবলিকান ট্রাম্প বাংলাদেশ ইস্যুকে কীভাবে দেখেন এখন সেদিকেই নজর সারা বিশ্বের। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে মুখ খুলেছিলেন। তাই হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ছন্নছাড়া তাঁর দল আওয়ামি লিগ। ট্রাম্প ভোটে জয়ের পর সেই আওয়ামি লিগ কর্মী সমর্থকদের জয়োল্লাস করতে দেখা যায়।