ওয়েব ডেস্ক: জেন-জি বিক্ষোভে জ্বলছে নেপাল (Nepal)। এদিকে মঙ্গলবারই কর্মসূচির কাজে উত্তরবঙ্গ (North Bengal) রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গ পৌঁছে প্রথমে কন্যাশ্রীতে গেলেও সেখানে নেট ওয়ার্কের সমস্যা (Network Problem) থাকায় মধ্যরাতে উত্তরকন্যায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। নেপালে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। প্রতিবেশী দেশের প্রতি মুহূর্তের খবরে নজর রাখতেই উওরকন্যা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর উওরকন্যা থাকার খবর জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত-নেপাল সীমান্তের একটা বড় অংশ উত্তরবঙ্গে। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালের উদ্ভূত পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগের। তাই রাজ্যের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের সহানুভূতিশীল মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতভর উত্তরকন্যা রাজ্য সচিবালয়ে ছিলেন। তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেছেন।”
আরও পড়ুন:চিংড়িঘাটা মেট্রো প্রকল্পের জট কাটল! নভেম্বরেই ট্রাফিক ব্লক করে কাজের সিদ্ধান্ত
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে নেপালের পরিস্থিতিতে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, “নেপাল নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। প্রতিবেশী দেশে শান্তি বজায় থাক। প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালকে আমরা ভালবাসি। শিলিগুড়ি, কালিম্পং- এ নেপাল সীমান্ত রয়েছে। নেপাল আমার দেশ নয়। এটা বিদেশি রাষ্ট্র। এই ব্যাপারে কথা বলতে পারি না। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কিছু বললে বলতে পারি। এটা কেন্দ্র দেখছে। আমার অনুরোধ থাকছে, সীমান্ত এলাকায় নজর রাখুন সকলে। কোনও গন্ডগোল জড়িয়ে পড়বেন না। ওখানে শান্তি ফিরে আসুক। আমরা মনে করি, পাড়া-প্রতিবেশী ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে কেউ যেন এই মুহূর্তে নেপালে যাবেন না।”
দেখুন অন্য খবর