ওয়েব ডেস্ক : ফ্রান্সে (France) সরকারের বিরুদ্ধে চরম আকার নিয়েছে বিদ্রোহ। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভা গঠনের কয়েকঘন্টা পর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নু (
Sébastien Lecornu)। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron) তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন বলে খবর। ফলে গত ২ বছরে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ৫ জন।
প্রসঙ্গত, লেকর্নুর আগে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফ্রাঁসোয়া বেরু। তাঁর মন্ত্রিসভাতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন লেকর্নু। গত সেপ্টেম্বরে বেরু হেরে যান অনাস্থা ভোটে। তার পরেই লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পদে বসার একমাস পর মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন লেকর্নু (
Sébastien Lecornu)।
আরও খবর : চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন তিন গবেষক
প্রসঙ্গত, দু’বছরে ৪ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছিল ফ্রান্সে (France)। যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন বহু মানুষ। শহরজুড়ে তাণ্ডব চালাতে দেখা গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষকে। মূলত, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা না ঠিক করতে পারার কারণেই পতন ঘটে বেরু সরকারের।
পরে জানা যায়, সরকারি ঋণের মোকাবিলা করার কারণে বাজেটে ৪৪ বিলিয়ন ইউরো কাটছাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেরু সরকার। তার প্রভাব দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর পড়েছিল। এর পরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। তার পরেই ‘আস্থা’ ভোটে পরাস্ত হন বেরু।
আর এর পরেই রাস্তায় প্রতিবাদ দেখান জনগন। তবে বেরুর উত্তরসূরি লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী করা হলেও, তাঁর মন্ত্রীসভা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল, নতুন মন্ত্রীসভা বেরু সরকারের অনুলিপি। তার বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই ইস্তফা দিলেন লেকর্নু।
দেখুন অন্য খবর :