নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে (Bangladesh) অবিলম্বে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সরব হল ভারত (India)। সোমবার নয়াদিল্লিতে (New Delhi) বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অবস্থান স্পষ্ট করলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী (Vikram Misri)। তিনি জানান, বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। “ভারত চায় দ্রুত বাংলাদেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন হোক। এই ভোটে যাতে সর্বাধিক মানুষ অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করাও জরুরি,” বলেন বিদেশ সচিব।
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট চায় অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি, তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, তারা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট করাতে চায়। বিক্রম মিস্রী সেই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, নির্বাচন আয়োজনের যে সময়সীমা তারা আগেই জানিয়েছে, তা গণতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ ভারতের
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, ভারত নাকি গোপনে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে** মদত দিচ্ছে। তবে বিদেশ সচিব সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেন। “মানুষের ভোটে নির্বাচিত যে কোনও দলের সঙ্গেই ভারত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখবে,” জানালেন তিনি।
বর্তমান বাংলাদেশের বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হাসিনার দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া কার্যত অসম্ভব। মানবতা-বিরোধী অপরাধে যুক্ত নেতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনও। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপাতত হাসিনার দল ভোটে অংশ নেবে না।
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারিক রহমান, যিনি গত ২৬ বছর বিদেশে আছেন, নির্বাচনের আগে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তারিক বলেন, তিনি এবার সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন। যদিও ছাত্র রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান দুর্বল। সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্র সংসদ ভোটে তাদের পিছনে ফেলেছে জামাতের ছাত্র সংগঠন। ফলে তারিকের দেশে ফেরা **বিএনপি কর্মীদের নতুন প্রেরণা** দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, মানবতা-বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সরকারি চাকরি বা প্রশাসনিক পদ থেকেও তাঁদের বরখাস্ত করা হবে।
দেখুন আরও খবর: