কলকাতা: ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে ( TMC Party Office vandalized in Tripura)। এই ঘটনায় এবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে বাংলার শাসক দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘যাঁরা ক্ষমতায় থেকেও প্রতিপক্ষের কণ্ঠ রোধ করতে হিংসার আশ্রয় নেয়, তাঁরা আসলে নিজেদের দুর্বলতা ও নৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকাশ করে।’
বুধবার ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, সুদীপ রাহা- এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। দলের বক্তব্য, তৃণমূলের প্রতিটি কর্মী এবং ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিক এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। যা ঘটেছে তা ত্রিপুরার মানুষ তো বটেই, সমগ্র দেশ দেখছে। এই অন্যায়ের পরিণতি কী হবে, তা সকলের জানা। পাশাপাশি, তৃণমূল বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘বিজেপি একদিকে ‘গণতন্ত্র বাঁচানোর’ কথা বলে, অন্যদিকে রাজ্য থেকে রাজ্যে গণতন্ত্রের ভিতকেই নষ্ট করছে’। কিন্তু তৃণমূল ভয় না, এমনটাই জানিয়েছেন সায়নী ঘোষ। সাফ কথা, বিজেপি পার্টি অফিস জ্বালাতে পারে, পোস্টার ছিঁড়তে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে, কিন্তু প্রতিরোধের মানসিকতা মুছে ফেলতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এসএসসি-র ফল প্রকাশ!
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলার (North Bengal BJP Attacked) ঘটনার প্রতিবাদেই আগরতলায় তৃণমূলের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেইসময়েই কয়েকজন সেখানে ভাঙচুর চালায়, এমনকি দলীয় পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হুমকির অভিযোগও করছেন কুনাল ঘোষও। এরপরই আজ সকালেই ত্রিপুরার উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ।
কলকাতা বিমানবন্দরে সায়নি ঘোষ ও কুনাল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে উঠেছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এবং গণতন্ত্র যখনই বিপন্ন হয়েছে, আমরা সেই লড়াই অব্যাহত রেখেছি। রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস যতই বাড়ুক না কেন, আমাদের সংকল্পের আগুন নিভিয়ে দেওয়া যাবে না।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা আজ পরিণত হয়েছে এক সন্ত্রাসের নাট্যমঞ্চে, যেখানে জঙ্গলরাজ-ই এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর রাজনৈতিক হিংসা পরিণত হয়েছে শাসনের হাতিয়ারে।’
দেখুন খবর