কলকাতা: বৃহস্পতিবার কলকাতা শহীদ মিনার ময়দানের বাজির বাজার পরিদর্শন করলেন কলকাতার সিপি মনোজ ভার্মা (CP Manoj Verma on Kali Puja)। বুধবার কালীপুজো উদ্যোক্তা ও দমকল, পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার ও অন্য পুলিশকর্তারা। এদিন পুলিশ কমিশনার জানান, কয়েকটি পুজো কমিটি ফানুস বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে। ফানুস ওড়ানোর ব্যাপারে ২০১৯ সালের দমকলের একটি নির্দেশিকা রয়েছে। সেই অনুযায়ী, ফানুস নিষিদ্ধ।
দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতে কার্নিভালের আয়োজন করা যেতে পারে। বিদ্যুৎ বিলেও ছাড়ের আর্জি। কালীপুজোর সমন্বয় বৈঠকে একগুচ্ছ দাবি পেশ পুজো উদ্যোক্তদের। পাশাপাশি, বাজি পোড়ানো থেকে ফানুস ওড়ানো, প্রতিটি বিষয়েই কমিটিগুলিকে সতর্ক করলেন নগরপাল মনোজ ভর্মা। কীভাবে দুর্গা পুজোর মতো সুষ্ঠ ভাবে কালীপুজোর আয়োজন করা যেতে পারে, সেই নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে। সূত্রের খবর, চলতি বছর মোট ২ হাজার ৮০০টি পুজোকে অনুমোদন দিয়েছে শহরের প্রশাসন।
নগরপাল জানিয়েছেন, অনুমোদিত গ্রিন বাজিই ফাটাতে পারবেন শহরবাসী। সেই মর্মে কলকাতার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকিং চলছে। বিমান ওঠানামায় বিপত্তি তৈরি হতে পারে ফানুসের কারণে, এই নিয়ে একাধিক অভিযোগও উঠেছে। ফানুসের পাশাপাশি লেজার আলো নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে লালবাজারের পক্ষ থেকে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হলেই কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিলল না অনুমোদন, মমতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম ফৌজদারী মামলা খারিজ
কমিশনার বলেন, গ্রিন বাজিতে ছাড় রয়েছে , কিন্তু যে সকল বাজিগুলিকে নিষিদ্ধ বলে দাগিয়েছে প্রশাসন, তা কোনও ভাবেই বিক্রি ও কেনা যাবে না। ফানুস নিয়েও দিলেন সতর্কবার্তা। তিনি বললেন, ‘ফানুস নিষিদ্ধ বাজির তালিকাভুক্ত। এই নিয়ে দমকল দফতরের ২০১৯ সালের একটা বিজ্ঞপ্তিও রয়েছে। প্রতিটি থানাকে বলা রয়েছে, ফানুস বিক্রি বা কেনার ঘটনা দেখলে তাঁরা যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।’ পাশাপাশি, কলকাতার আবাসনগুলি বিশেষ করে বহুতলে যাতে সকল নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করে বাজি ফাটানো হয়, শহরবাসীর কাছে সেই আর্জিই রাখলেন তিনি। প্রতিবছর ন্যায় এই বছরও বিসর্জনের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার নগরপাল জানিয়েছেন, আগামী ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর কালী প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও