কলকাতা: আরজিকর-এ দুর্নীতির অভিযোগ তোলা আখতার আলিকেই দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে সরঞ্জাম পাইয়ে দেওয়ার বদলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইস্তফা গ্রহণ না করে আখতার আলিকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর। বর্তমানে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার তিনি।
আর জি করের ডেপুটি সুপার থাকাকালীন আর জি কর হাসপাতালের অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আখতার আলি। হাইকোর্টের নির্দেশে এই দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হন আর জি করের তৎকালীন সুপার সন্দীপ ঘোষ সহ মোট পাঁচজন। জানা গিয়েছে, আর জি কর দুর্নীতি মামলার মুখ আখতার আলি সম্প্রতি অনলাইনে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মপ্রার্থী হতে চলেছেন আখতার আলি। বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার পথ পরিষ্কার রাখতেই সম্প্রতি আখতার আলি স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি থেকে ইস্তফা পেশ করেছেন। আরজিকর দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকারকে চরম বিপক্ষে ফেলা আখতার আলির ইস্তফা মঞ্জুর করেনি পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: SIR সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশ কমিশনের, অমান্য় করলেই এফআইআর!
আখতার আলি জানান, সাসপেন্ডশন লেটার হাতে পেয়েছেন। তবে, তিনি আইন মেনে এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করবেন। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরে যে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি লড়বেন। নারীদের সুরক্ষা দিতে তিনি লড়বেন এবং তিনি এও বলেন এই লড়াই তিনি জারি রাখবেন।
কেন আখতার আলিকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্তে পরবর্তী সময়ে আখতারের ভূমিকা উঠে এসেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ‘আখতার আলির অভিযোগেই মিলেছে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ।’ তাঁর বিরুদ্ধে বরাত পাইয়ে দিতে টাকা, পরিবারের জন্য বিমানের টিকিট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, দু’টি সংস্থা থেকে একাধিকবার বিমানের টিকিট কাটিয়েছেন আখতার আলি। একটি সংস্থা থেকে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। চতুর্থ আরেকটি সংস্থা থেকে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৪ কোটি ১৪ লক্ষের বরাত পাইয়ে দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আখতার আলির বিরুদ্ধে।
দেখুন খবর:







