ওয়েবডেস্ক- রাজ্য জুড়ে এসআইআর (SIR) চলছে। বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form) বিতরণ করছেন। কিন্তু এই অবস্থায় চরম উদ্বেগের বিষয় হল মানুষের মধ্যে এই তীব্র আতঙ্ক কাজ করছে। যেটা হল দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এই আতঙ্কে ইতিমধ্যেই একাধিক মানুষ আত্মহত্যা করেছেন।
প্রথম থেকেই এসআইআর ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) । এসআইআর লাগু হলে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়া নিয়ে যে ভয়টা পেয়েছিলেন, সেটাই এবার বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। এবার এসআইআর ইস্যুতে ভয়, আতঙ্কিত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
তৃণমূলের তরফে পরিবারগুলির পাশে রয়েছে স্পেশাল সাপোর্ট টিম গঠন (special support team) । এই স্বজন হারানো পরিবারগুলির পাশে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নির্দেশে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের কাজ হবে বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, তাদের আর্থিক সহায়তা করা। অভিষেকের নির্দেশ মতো কাজে নেমে পড়েছেন নেতা কর্মীরা।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এসআইআরকে হাতিয়ার করে বাংলায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। বেছে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। একজন বৈধ ভোটারের নামও যদি বাদ যায়, তাহলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাওয়ে কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে বিজেপির কটাক্ষ প্যানিক পলিটিক্স করছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- SIR সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশ কমিশনের, অমান্য় করলেই এফআইআর!
উল্লেখ্য, এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে এক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রধান সমস্যার সূত্রপাত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতো ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নিয়ে। মানুষের প্রশ্ন যদি নাম না থাকে, তাহলে এই দেশ ছেড়ে তাদের কী চলে যেতে হবে? এই চিন্তায় উদ্বেগে বহু মানুষ চরম পদক্ষেপ বেছে নিয়েছে। যার জেরে উৎকন্ঠায় রাজ্য সরকার।
দেখুন আরও খবর-







