Thursday, November 13, 2025
HomeScrollভুয়ো স্বীকৃতির দাবি! আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে নোটিস NAAC-এর
NAAC

ভুয়ো স্বীকৃতির দাবি! আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে নোটিস NAAC-এর

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে দাবি করা হয়েছে তা ভুল! জানাল NAAC

ওয়েব ডেস্ক : রাজধানী দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণের দু’দিন পর ফরিদাবাদের আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে (Al-Falah University) নোটিস পাঠাল ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা ন্যাক (National Assessment and Accreditation Council (NAAC) )। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ উঠেছে, তারা তাদের ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর ও ভুয়ো স্বীকৃতির দাবি করেছে।

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাদের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং স্কুল অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বর্তমানে ন্যাক (NAAC) স্বীকৃত। কিন্তু অনেক বছর আগেই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিকে ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত। কিন্তু তারা আর দ্বিতীয়বার স্বীকৃতি জন্য আবেদন করেনি।

আরও খবর : নিখোঁজ ৩০০ কেজি বি/স্ফো/র/ক কোথায়? উদ্ধারে মরিয়া পুলিশ

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের তরফে নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে দাবি করা হয়েছে তা ভুল। জনসাধারণ, বিশেষ করে অভিভাবক ও ছাত্রদের জন্য তা বিভ্রান্তিকর। সেই কারণে আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? কেন তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য স্বীকৃতির প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হবে না? ন্যাকের তরফে (NAAC) আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে তারা ইউজিসিকে (UGC) সুপারিশ করতে পারে, যাতে ২ (এফ) ও ১২ বি ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়। এমন কি মেডিক্যাল কমিশনকে জানানো হতে পারে, যাতে তারা আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করে।

অন্যদিকে দিল্লি (Delhi) বিস্ফোরণের ঘটনায় আল-ফালাহ বিশ্ব বিদ্যালয়েরর স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তিন কর্মীর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। ওই তিনজনের নাম উমর উন নবী, মুজাম্মিল শাকিল ও শহিন সাঈদ। এই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ নিয়ে ইউজিসি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কীভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে, তার পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

দেখুন অন্য খবর : 

Read More

Latest News