Tuesday, November 18, 2025
HomeScrollঅনাথ আশ্রম-তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের জন্য ‘গার্ডিয়ান রুল’ নির্বাচন কমিশনের
Election Commission

অনাথ আশ্রম-তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের জন্য ‘গার্ডিয়ান রুল’ নির্বাচন কমিশনের

কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত মানবাধিকার ও LGBTQI+ সংগঠনের

ওয়েবডেস্ক- শহরের অনাথ আশ্রম (Orphans, শিশু–হোম ও হিজড়া (তৃতীয় লিঙ্গ) সম্প্রদায়ের (Third gender votersপ্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের (Adult votersজন্য ‘গার্ডিয়ান রুল’ (Guardian Ruleচালু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যাঁদের স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণে সমস্যা ছিল, তাঁদের নামে অভিভাবক হিসেবে সংস্থা–প্রধান থাকবেন।

এনুমারেশন ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকের নাম ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে বিএল ওদের। কলকাতার একাধিক হোম ও আশ্রয়কেন্দ্রের ডেটা নেওয়া শুরু। SIR ফর্ম ফিল–আপে বিশেষ ক্যাম্পের পরিকল্পনা। ভোট–প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে একাধিক মানবাধিকার ও LGBTQI+ সংগঠন।

নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, যদি কোনও অনাথ শিশু শৈশব থেকেই অনাথ আশ্রমে লালিত-পালিত, যারা পিতামাতার নাম উল্লেখ করতে অক্ষম, তাহলে তারা ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না। তবে অনাথ আশ্রমের নাম পিতা/মাতা/স্বামীর জন্য দেওয়া নির্ধারিত কলামে প্রবেশ করানো হবে। একই রকম বিধান হিজড়াদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের অনেকেই সাংস্কৃতিক অভিভাবক ব্যক্তির অধীনে সম্মিলিতভাবে বসবাস করেন।

আরও পড়ুন-  SIR স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরল


এই ক্ষেত্রে কমিউন প্রধান বা গুরু মা নাম অভিভাবক হিসেবে লেখা যাবে। নির্বাচনের কমিশনের এই আশ্বাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল অনাথ আশ্রমগুলি। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি যে সমস্যার মুখোমুখি হয় তা হল নথি হারিয়ে গেছে বা ছিঁড়ে গেছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন কারুর বসবাসের ইতিহাস। কোনও কোন প্রাতিষ্ঠানিক রেকর্ড প্রমাণ হিসেবে যোগ্য তা নিয়ে অস্পষ্টতা।

সোনারপুতে সেভ দ্য অরফানসের দিলীপ সাঁপুই বলেন, কিছু বাচ্চা প্রায় কোনও কাগজপত্র ছাড়াই আসে। ভর্তির স্লিপে প্রায়শই বয়স অস্পষ্টভাবে লেখা থাকে।  কোনও পূর্ব ঠিকানা বা পারিবারিক রেকর্ড থাকে না। আমাদের বেশিরভাগ আবাসিকের জন্ম সনদ আছে, আবার অনেকের কিছু নেই। আমরা নথিপত্রের জন্য হাসপাতাল, স্থানীয় নাগরিক সংস্থা এবং পঞ্চায়েত অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।  একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনাকারী একটি এনজিওর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা এখন নাম, জন্ম তারিখ, আধারের বিবরণ (যেখানে পাওয়া যায়) এবং শিশু-কল্যাণ কর্তৃপক্ষের আইনি ভর্তির রেকর্ড রাখছেন।

বারাসতের হেমা হিজড়া কমিউনে যেখানে প্রায় ৪০ জন বাসিন্দা বাস করেন – SIR কার্যক্রম কয়েকদিন ধরে চলছে। কাজল বলে জনৈক একজন জানিয়েছেন, আমরা আমাদের গুরু মা হেমা হিজড়ার নাম মায়ের কলামে লিখেছি।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News