মালদহ: মালদহে (Maldah) রীতিমতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে যক্ষা আক্রান্ত পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে দেওয়া হল মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। সেই ওষুধ খাওয়াতেই আশঙ্কাজনক অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে শিশুটি মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মিলনগড় গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ওমর হোসেনের পাঁচ বছরের মেয়ে মেহেক ইসলামের পায়ে প্রায় এক মাস আগে টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষার পর তার যক্ষা ধরা পড়ে। এরপর তাকে ডিটিসি সেন্টারে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য পরিবারকে স্থানীয় মশালদহবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: আজ মতুয়া গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভা, দিনভর কী কী কর্মসূচি রয়েছে? দেখুন ভিডিয়োয়
চলতি মাসের ১৩ তারিখ ওই হাসপাতাল থেকেই ওষুধ সংগ্রহ করে তাকে খাওয়ানো শুরু করা হয়। কিন্তু ওষুধ নেওয়ার পর থেকেই মেহেকের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। পরে দেখা যায়, গত ১০ দিন ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধই খাচ্ছিল শিশুটি। গত রাতে তার শারীরিক পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে তাকে মালদহের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেহেকের দাদা ইশতিয়াক আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ। সবসময় ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হয় না। ওষুধের মেয়াদ গত সেপ্টেম্বরেই শেষ হয়েছে তা আমাদের জানা ছিল না। তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “কোনও ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও কিছুদিন সেফটি পিরিয়ড থাকে। কীভাবে এই ওষুধ হাসপাতালে এল তা খতিয়ে দেখা হবে। শিশুটির পরিবারকে ডাকা হয়েছে এবং মেহেককে নতুন করে পরীক্ষা করা হবে। চিকিৎসার ব্যাপারে কোনও অবহেলা করা হয়নি।”
এ ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যেও। চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতিতে নিরীহ শিশুর এমন বিপর্যস্ত অবস্থার জন্য দায় কার? এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
দেখুন আরও খবর:






