নদিয়া: ভারত–বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে আবারও বড় সাফল্য বিএসএফ-র। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৩২তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা নদীয়ার টুঙ্গি বিওপি এলাকায় এক বাংলাদেশি চোরাকারবারীকে হাতেনাতে আটক করে। জলাশয়ের কচুরিপানার আড়াল দিয়ে সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়েই ধরা পড়ে সে। উদ্ধার হওয়া সোনার মোট ওজন ২৩৫৪.৭৩ গ্রাম এবং বাজারমূল্য আনুমানিক ৩,০৫,৯৯,৭১৬ টাকা।
সূত্রের খবর, ২ ডিসেম্বর বিকেলে বিএসএফের কাছে খবর আসে যে কয়েকজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতী সোনা নিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের পরিকল্পনা করছে। তথ্য হাতে পেয়েই জওয়ানরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে এবং সম্ভাব্য রুটগুলিতে অতর্কিত নজরদারি শুরু করে। বিকেল প্রায় পাঁচটার সময় দুই সন্দেহভাজনকে একটি হ্রদ পেরিয়ে ভারতের দিকে আসতে দেখা যায়। তারা কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। তাদের চ্যালেঞ্জ করলে এক চোরাকারবারী পালানোর চেষ্টা করে, তবে দ্রুত ঘেরাও করে একজনকে আটক করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: এবার গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার বনগাঁর বিজেপি নেতা
অপরজন অন্ধকারের সুযোগে পালাতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর পরই আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি প্যাকেট উদ্ধার করে জওয়ানরা। প্যাকেটগুলো খুলতেই মেলে মোট ২০টি সোনার বিস্কুট। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিওপি টুঙ্গিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে সে জানায়, সে বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ আন্তঃসীমান্ত চোরাচালানে জড়িত। আর্থিক লাভের বিনিময়ে সীমান্তের ভারতীয় অংশে সোনা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার। পরে ধৃত অভিযুক্তকে সোনাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ, যাতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেখুন খবর:







