কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কালীঘাটের বাড়িতে (Mamata Banerjee Kalighat House) পিস্তল হাতে ঢোকার চেষ্টা করে এক যুবক। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার নাম করে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা, পিস্তল-সহ আটক হলেন এক ব্যক্তি। গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যাক্তি। পিস্তল সহ আটক করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে খবর, ধৃতের বাড়ি সল্টলেক এলাকায়। বড়সড় নাশকতার ছক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
দেবাঞ্জনকে জেরা করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশি জেরার মুখে প্রৌঢ় জানিয়েছেন, তিনি শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের রাস্তায় তাঁকে ইতিউতি ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার এলাকার নিরাপাত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা প্রৌঢ়কে আটক করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমার কিছু আর্জি ছিল। এয়ারগান জমা দিয়েই আমি গাড়ি থেকে নেমেছিলাম। তবু অকারণে আমাকে আটকানো হয়।
আরও পড়ুন:আকাশ ঢাকল কালো মেঘে,ঝেপে নামল বৃষ্টি, কমলা সতর্কতা জারি !
জানা গিয়েছে, তাঁর নাম দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, সল্টলেকের বাসিন্দা। ব্যাগ তল্লাশি করে পিস্তল ও গুলি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। পাওয়া গিয়েছে পরিচয়পত্রও। সেই পরিচয়ত্র থেকে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জন সল্টলেকের এক বেসরকারি স্কুলের কর্মী তিনি। জেরার মুখে পড়ে দেবাঞ্জন দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই তিনি এসেছেন। তাহলে হাতে কেন পিস্তল? এই প্রশ্ন উঠছেই। এত বড় একটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। চিন্তার ভাঁজ চওড়া পুলিশ মহলেও।
দেখুন ভিডিও