ওয়েবডেস্ক- অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) তাণ্ডবলীলা শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা (Cyclone Montha) । মঙ্গলবার ভোরেই ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই ল্যান্ডফল শুরু হয়েছে। রুদ্ররূপে ঘূর্ণিঝড় প্রতি ১৭ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে। ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সন্ধা সাড়ে ৬ টা থেকেই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে চলবে, কারণ খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে মন্থা। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) কাকিনাড়ার (Kakinada) কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে অন্ধ্র সরকার (Andhra Government) ।
উপকূলীয় অন্ধ্র এবং দক্ষিণ ওড়িশা (Odisha) জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rain) এবং তীব্র ঝোড়ো হাওয়া বইছে। এই পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত ১২২ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-মধ্য রেলের সিপিআরও। বেশির ভাগই বিজয়ওড়া এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ছাড়ার কথা ছিল। সেই সঙ্গে একাধিক ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া, রাজামুন্দ্রি এবং তেলঙ্গানার শামশাবাদ বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৩৫টি বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- অন্ধ্র উপকূলে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু মন্থার, ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে বইছে হাওয়া
প্রবল দুর্যোগে ওড়িশা। ওড়িশার গঞ্জাম, গজপটি, কোরাপুট, রায়গড় এবং মালাকানগিরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। এই জেলাগুলিতে জারি লাল সতর্কতা। পুরী সহ ওড়িশার ১১ জেলায় জারি করা হয়েছে ঝড় বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। অন্ধ্রের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে পূর্বাভাস। ১৯ জেলায় লাল সতর্কতা। পাশাপাশি তিন জেলায় দুর্যোগের কমলা সতর্কতা এবং চার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় উচ্চ সতর্কতা জারি (High Alert) । উপকূলীয় অঞ্চলের প্রশাসন উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ অতিক্রম না করা পর্যন্ত জেলেদের খোলা সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ৩,১৭৪টি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করেছে যেখানে ৩,৭৭৮ জন সচিব কর্মচারী রয়েছেন। ডঃ বিআর আম্বেদকর কোনাসীমায় (৬৫০টি), তারপরে বাপাতলা (৪৮১টি) এবং পূর্ব গোদাবরী (৩৭৬টি) সর্বাধিক সংখ্যক পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে।
দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই পাবে না বাংলাও। ২৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। আইএমডি ২৮-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর এবং এর বাইরে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য জেলেদের পরামর্শ দিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই জলে থাকা সকলকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ফিরে আসতে বলেছে।
দেখুন আরও খবর-







