ওয়েব ডেস্ক: শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ডই দিল বাংলাদেশের বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ল আদালতকক্ষ। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (International Crimes Tribunal Bangladesh) দোষী সাব্যস্ত হলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করল আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। এক, উস্কানি দেওয়া। দুই, হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে। হাসিনা, আসাদুজ্জামান এবং আল-মামুন এর জন্য দায়ী। প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, যে সমস্ত ফোনালাপ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তা এআই সহায়তায় প্রমাণিত নয়। রায়ের শেষ অংশ থেকে বিচারপতি পড়ে শোনান, ‘‘ছাত্রদের কথা শোনার পরিবর্তে আন্দোলনকে অবহেলা করেছেন হাসিনা। আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজাকার বলে অপমান করেছেন। হাসিনার পক্ষে আইনজীবী দাবি করেছেন, কাউকে হাসিনা অপমান করেননি। কোনও হেলিকপ্টার আন্দোলন ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়নি। আন্দোলন দমনে নিজে সরাসরি যোগও দেননি। আন্দোলনকারীদের সংখ্যাই সরকারি হিসাবে ৮০০। তা হলে দেড় হাজার আন্দোলনকারীর মৃত্যু হল কী ভাবে? প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনার আইনজীবী। বিচারপতি রিপোর্টের অংশ পড়ে বলেন, ‘‘অপরাধের জন্য ক্ষমা চাননি হাসিনা। তাঁর অনুশোচনা নেই। বরং আধিকারিকদের এবং ট্রাইব্যুনালের কর্মীদের হুমকি দিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঘুর পথে ফের ভারতের উপর শুল্ক চাপাতে চলেছেন ট্রাম্প!
এদিন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল। হাসিনা-সহ অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত। ট্রাইবুনালের আইন অনুযায়ী তাঁরা শাস্তির যোগ্য। জানালেন বিচারপতি। শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুনকে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা করে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল। ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, যেহেতু হাসিনা ও কামাল দু’জনেই পলাতক, তাই অর্ডার কপি তাঁদের দেওয়া হবে না। যদিও আওয়ামি লিগ আগেই জানিয়েছে জামাত প্রভাবিত ‘ক্যাঙারু আদলতে’ বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায় বিচার হতে পারে না।
অন্য খবর দেখুন







