সুভ্রজিৎ চক্রবর্তী: ফলতা থানা (Falta Thana) এলাকার জ্বলন্ত খড়ের গাদা থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মিলল মহিলার পরিচয়। পরিবারের অভিযোগ তার স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত বুধবার ফলতা থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুদাগ্রামে জ্বলন্ত খড়ের গাদার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। জানা যায় মৃতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) বিষ্ণুপুর থানার ((Bishnupur Thana) ন’হাজারির মোল্লাপাড়ার এলাকার বাসিন্দা।
মৃত ওই গৃহবধুর নাম মুসলিমা খাতুন। প্রেম করে বিয়ে করেছিল ফলতা থানার এলাকার গোপালপুরের বুদা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোর্তজাকে । গোলাম মুসলিমার বাড়ির কাছে দর্জির কাজ করত। সেই কাজের সুবাদে প্রেম হয় বলে জানা যায় মৃত গৃহবধূ পরিবার থেকে, পরে বিয়ে করে। সাংসারিক অশান্তি কারণে বেশ কিছুদিন তাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। সেই কারণে ওই গৃহবধূ তার বাপের বাড়িতেই থাকত। তাদের একটি কন্যা সন্তানও আছে বলে জানা যায়। মাঝেমধ্যে গোলাম মোর্তজা, তার স্ত্রী মুসলিমাকে ফোন করতো। ফোনে যোগাযোগ থাকলেও শ্বশুরবাড়িতে আসেনি মুসলিমা।
আরও পড়ুন: মণিপুরে CRP, BSF, ITBP’র অভিযানে বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডার সহ বিস্ফোরক উদ্ধার
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রমজানের রোজার পড়ার কারণে বেশ কিছু জিনিসপত্র কিনে দেবে বলে গোলাম ফোন করেছিল মুসলিমাকে। আর সেই মতন মঙ্গলবার কাউকে না জানিয়ে মুসলিমাকে বাপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই পরিবারের লোকজন আর কোন খোঁজ পাননি।
অভিযোগ রাতে ওই মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার করে এরপর মেরে খড়ের গাদার মধ্যে রেখে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সঙ্গে গোলামের আরও অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল বলে ওই গৃহবধুর পরিবারের দাবি। এরপর ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন মুসলিমাকে বারবার ফোন করে ফোনের সুইচ অফ ফোনে কোনও যোগাযোগ হয় নি।
তারপরে গোলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গোলাম বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এর মধ্যেই বুধবার দিন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশ পায় খড়ের গাদা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
সেই খবর দেখার পরে পরিবারের লোকজন খোঁজখবর শুরু করে । অবশেষে ফলতা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত মহিলার পরিবারের লোকজন।
তাদের মেয়ের পরনে কি ছিল বেশ কিছু বিবরণ দেওয়ার পরে মিলে যায়, মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই গৃহবধূর স্বামী মঙ্গলবার দিন রাতে নিয়ে এসে পুড়িয়ে মেরে আবার ওই রাতে চলে যায় কাজের জায়গায় অর্থাৎ বিষ্ণুপুর থানার নহাজারী এলাকায়।
এই ঘটনা পেছনে তার স্বামী গোলাম মোর্তোজার হাত আছে বলে পরিবারের দাবি। পুলিশকে বলার পর শুক্রবার দিন সন্ধ্যায় আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, এবং কি কি ঘটেছিল, কখন মেরেছিল, কি দিয়ে মেরেছিল একাধিক বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফলতা থানার পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর: