ওয়েব ডেস্ক: গাজার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF) আবার গাজায় বড় আক্রমণ চালিয়েছে, যার ফলে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলাগুলিতে শরণার্থী শিবির, স্কুল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশু। তবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা হামাসের শীর্ষ নেতাদের টার্গেট করেছে।
দিনকয়েক আগে, কাতারের মাধ্যমে গাজায় শান্তি স্থাপনের আলোচনা শুরু হয়েছিল। সেখানে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শান্তির জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তার উত্তরের পর গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। এই হামলাগুলি গাজার দক্ষিণে খান ইউনুস এবং আল মাওয়াসি এলাকায় চালানো হয়, যেখানে হামাসের নেতারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান-পাকিস্তান উত্তেজনা! সীমান্তে কি বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা?
এই হামলায় হামাসের পুলিশ প্রধান মাহমুদ সালাহ এবং তার সহকারী হুসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আরও ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। গাজার সিভিল ডিফেন্স বাহিনী জানিয়েছে যে, এই হামলায় বহু শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক নারী ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা হামাসের নেতাদের টার্গেট করেছে, যারা গাজার মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। তবে হামাস বলছে, তাদের সদস্যরা মানবিক সাহায্য নিয়ে শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিলেন। তাদের মতে, ইজরায়েলি সেনা নির্দিষ্ট লক্ষ্য না করে সাধারণ মানুষকেও আক্রমণ করেছে, যাদের অনেকেই অসহায়।
গাজার পরিস্থিতি এখন আন্তর্জাতিক মহলে বড় আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বহু দেশ গাজায় ইজরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে এবং শান্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের হামলাগুলিকে নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। গাজার সাধারণ মানুষ এখন বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে, এবং তাদের প্রতিদিনের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধান এখনও দেখা যাচ্ছে না।
দেখুন আরও খবর: