ওয়েব ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে চলেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ এবং আঞ্চলিক প্রভাবের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান একে অপরকে সীমান্তের সুরক্ষা নিয়ে অভিযোগ করে থাকে। আফগানিস্তান পাকিস্তানকে দোষারোপ করে বলে, তারা আফগান সীমান্তে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান আফগানিস্তানকে দায়ী করছে তাদের দেশে জঙ্গি হামলার জন্য। এই দ্বন্দ্ব সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে, এবং সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সংঘর্ষ আরও জোরদার হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পেয়েছি, এছাড়া কোনও বক্তব্য নেই: বিদেশমন্ত্রক
একই সময়ে, আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের জন্য নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। তালিবান সরকার আফগানিস্তানে পুনরায় শাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর, পাকিস্তান নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। তালিবান সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক জটিল হলেও, সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র মতবিরোধ চলছে। আফগানিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকিস্তান তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করেছে।
এই উত্তেজনা শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করছে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের এই দ্বন্দ্ব ভারত, ইরান এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও চিন্তিত, কারণ এই ধরনের উত্তেজনা আরও বড় সংঘর্ষের কারণ হতে পারে।
অন্ততপক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা চলছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয়ই জানে, তাদের সম্পর্কের উন্নতি আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি। তবে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন। শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেখুন আরও খবর: