ওয়েব ডেস্ক: ইরানি মিসাইল হামলায় আঘাতপ্রাপ্ত হলেও মধ্যপ্রাচ্যে দাপট বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ইজরায়েল। কারণ, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের (Israel-Iran War) মাঝেই ফের একবার হিজবুল্লার (Hezbollah) উপর হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার রাতেই এই খবর নিশ্চিত করেছে ইজরায়েলি সেনা। এমনকি নেতানিয়াহুর সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ লেবাননে (Lebanon) ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লার শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ খাদর আল-হুসেইনি।
এক বিবৃতি জারি করে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (Israel Defence Force)। আইডিএফ-এর দাবি, হুসেইনি দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লার হয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। তিনি হিজবুল্লার অস্ত্রভান্ডার পুনর্গঠনের দায়িত্বে ছিলেন এবং নাহারিয়া ও হাইফার মতো শহরে একাধিক হামলার নেপথ্য পরিকল্পনাকারী হিসেবেও তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, হুসেইনির কার্যকলাপ লেবানন-ইজরায়েল সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: এক টেবিলে ইউরোপের ৩ সুপারপাওয়ার! আরও চাপে পড়বে ইরান?
লেবাননের বুকে এই হামলা চালানোর পর আইডিএফ রীতিমত হুঁশিয়ারির সুরেই জানিয়েছে, “আমাদের প্রতি যেকোনও হুমকির মোকাবিলায় আমরা সক্রিয় থাকব।” তবে একবারের হামলাতেই থেমে নেই ইজরায়েলি সেনা। সূত্রের খবর, লেবাননে হিজবুল্লার ঘাঁটি নিশানা করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। গত বুধবার রাতে শুরু হয় এই হামলা। সেই হামলায় নাবাতিয়ে প্রদেশে তাদের হামলায় দুই শীর্ষ হিজবুল্লা নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
প্রথমে গাজা, তারপর ইরান এবং এখন লেবানন- মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক দেশের উপর ইজরায়েলের এই লাগাতার হামলা এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাতে ইরানের চার শীর্ষ সেনা এবং ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রাণ হারিয়েছেন। পাল্টা হামলায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে তেল আভিভ ও জেরুজেলেমে। শনিবার সেই সংঘাতের নবম দিন, কিন্তু সংকটের কোনও সমাধান এখনও অদৃশ্য।
দেখুন আরও খবর: