ওয়েব ডেস্ক: দিন দিন চরমে পৌঁছচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদ্যুৎ সংকট (Electricity Crisis)। আর এই সমস্যার সমাধানে এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ নিচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের (Mohammed Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গ্রীষ্মের আগেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকানপাট এবং বসত বাড়িতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি-র তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার উপরে রাখতে হবে।
এই বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মহম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, বিদ্যুতের ভারসাম্য রক্ষা করতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যারা এই সরকারি নির্দেশ অমান্য করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে এবং আইনত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: “ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন…,” বাংলাদেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন হাসিনা
ইউনুস সরকারের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে মূল কারণ হল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকট। ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানির (Adani Power) সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের জেরেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে খবর। তবে এই সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে বলে জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠী। দুই ইউনিটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা। কিন্তু গত অক্টোবর থেকে ইউনুস সরকার বিদ্যুৎ আমদানি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। এদিকে এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাংলাদেশ সরকার ফেব্রুয়ারিতে আদানির কাছে পুনরায় পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ জানায়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধে কিছুটা ছাড় চেয়েছিল। কিন্তু আদানি গোষ্ঠী সেই অনুরোধ সরাসরি নাকচ করে দেয়।
দেখুন আরও খবর: