ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার (USA) পর এবার আফ্রিকা (Africa)। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে (South Sudan) ঘটল ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash)। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিটি প্রদেশের একটি তৈলক্ষেত্রের রানওয়ে থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীবোঝাই একটি বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা একজন বাদে সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল ছিল বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘মিশন ইন দক্ষিণ সুদান’ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে মোট ২১ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন প্রাণে বেঁচে গেছেন। দক্ষিণ সুদান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটসহ তৈলক্ষেত্রের কর্মীরা। বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিকও ছিলেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা বিবিসি। তবে তাঁর পরিচয় বা বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।
আরও পড়ুন: কপ্টারের ধাক্কা, নদীতে ভেঙে পড়ল বিমান! আমেরিকায় হুলুস্থুল কাণ্ড
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে গত কয়েক বছরে দক্ষিণ সুদানে একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জুবা থেকে ইরোল শহরগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, যাতে প্রাণ হারান ১৯ জন। এর আগে, ২০১৫ সালে জুবার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর একটি বিমান ভেঙে পড়লে পাইলটসহ সকল বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়।
At least 18 people were killed and two others injured when a plane crashed in Unity State’s Rubkona County. The aircraft, which was traveling from the Unity oil fields to Juba, went down shortly after takeoff at 10:30AM.#SouthSudan #SSOX #SSOT pic.twitter.com/xfcMBFbQFw
— Tor Madira Machier (@TorMadira) January 29, 2025
তাই এই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাটি ফের দক্ষিণ সুদানের বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার খামতিকে সুস্পষ্ট করে তুলল। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, পুরানো বিমান, দুর্বল অবকাঠামো এবং অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ সুদানে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ সুদান সরকার দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি বা রানওয়ের দূরবস্থার কারণে এই দুর্ঘটনা হতে পারে।
দেখুন আরও খবর: