ওয়েব ডেস্ক: প্রখ্যাত লেখক সলমন রুশদিকে (Salman Rushdie) ছুরিকাহত করা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল নিউইয়র্ক আদালতের জুরি। হাদি মাতার (Hadi Matar) নামে ২৭ বছর বয়সি আসামির সাজা শোনানো হবে আগামী ২৩ এপ্রিল, ৩২ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে তাঁর। হামলার দিন মঞ্চে উপস্থিত সমাজকর্মী র্যালফ হেনরি রিসকে আহত করার মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন হাতার।
২০২২ সালের ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে (Chautauqua Institution) বক্তৃতা দিতে গিয়েছিল ইন্দো-ব্রিটিশ লেখক রুশদি। বক্তৃতা দিতে ওঠার ঠিক আগেই গাঢ় রংয়ের পোশাক এবং মুখোশ পরা হাদি মাতার মঞ্চে উঠে পড়েন এবং লেখকের উপর একাধিকবার ছুরি চালান। রুশদির গলায় তিনটি, পেটে চারটি আঘাত লাগে। আঘাত লাগে ডান চোখ এবং বুকেও। ওই হামলার জেরেই ডান চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং একটি হাতের ব্যবহার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার মতো নতুন ভাইরাস খুঁজে পেল চীন, কী হবে এবার?
রুশদিকে দ্রুত উত্তর-পশ্চিম পেনসিলভ্যানিয়ার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। তখনই বোঝা যায় যে যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর, ক্ষতি হয়েছে চোখ এবং হাতের শিরার।
হামলাকারী মাতার পরে জানান, তিনি ভাবতে পারেননি রুশদি ওই হামলার পরেও প্রাণে বেঁচে যাবেন। রুশদির লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ (Satanic Verses) বইয়ের উপর ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের প্রয়াত সর্বময় নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি (Ayatollah Ruhollah Khomeini)। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই কি হামলা? এই প্রশ্নের উত্তরে মাতার বলেন, “আমি আয়াতোল্লাকে শ্রদ্ধা করি, তিনি একজন মহান মানুষ। এ নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না।” হামলাকারী এও জানান, রুশদির বিতর্কিত বইয়ের মাত্র দুটি পৃষ্ঠাই পড়েছেন তিনি।
দেখুন অন্য খবর: