ওয়েব ডেস্ক: প্রকৃতি এবং বন্য জন্তুর সমাহারের জন্য বিখ্যাত হলেও আফ্রিকা (Africa) মহাদেশের কেনিয়া (Kenya) নামক দেশটি তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও অনেকটা পিছিয়ে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ার ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর বয়স ৩৫-এর নিচে। কিন্তু তাঁদের কর্মসংস্থানের (Job Market) অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখনও দেশের শহর এলাকার অর্ধেক মানুষ বস্তিতে বসবাস করে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, কেনিয়ার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ সঠিক চাকরির সুযোগ পান। কিন্তু কেনিয়ার এক বছর ২০-র যুবক দেখিয়ে দিয়েছেন, সব বাধা অতিক্রম পেরিয়েও সফল হওয়া যায়।
এই গল্পটা নাইরোবির কিবেরা বস্তিতে বেড়ে ওঠা আনাস্তাসিয়া ময়েন্দের (Annastacia Mwende)। সে আজ এই বস্তি এলাকার একজন সফল ও সুপ্রষ্ঠিত গাড়ি মেকানিক (Mechanic)। ছোটবেলা থেকে গাড়ির প্রতি ভালোবাসা থাকলেও কখনই মেকানিক হওয়ার কথা ভাবেনি ময়েন্দে। ইচ্ছে ছিল, একজন সফল এইচআর হওয়ার। কিন্তু দেশের বেকারত্ব, পরিবারের আর্থিক অনটন এবং বাবার হাতে লেগে থাকা গ্রিজের দাগ তাঁকে টেনে আনে গড়ি সারাইয়ের দুনিয়ায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে মেকানিকের কাজ শিখেছিল সে। সেখানেই এসেছে সফলতা।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় ফের কর্মী ছাঁটাই! রাতারাতি চাকরি গেল ২০ মেটা-কর্মীর
আসলে সিএফকে নামের একটি বেসরকারি সংস্থা কেনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে যুবকদের প্রশিক্ষিত করে তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরি করার কাজ করে। কয়েকবছর আগে সংস্থার নজরে পড়ে ময়েন্দে। বাবার মতো গাড়ি মেকানিক হওয়ার কোর্সে ভর্তি হয় সে। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে নাইরোবির টাইমড পারফরম্যান্স গ্যারাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ সেই গ্যারাজের অন্যতম সেরা ও দক্ষ মেকানিক হিসেবে নাম ছড়িয়েছে ময়েন্দের। মাস শেষে হাতে আসছে টাকাও। ২০ বছরের ময়েন্দের দৌলতে আজ হাল ফিরেছে তাঁর পরিবারের।
তবে শুধু ময়েন্দে নয়, ২২ বছর বয়সী নিকোলাস ওধিয়াম্বোও একই সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ সফল। সে এখন এক সেলুনে কাজ পেয়েছে। যেখানে কেনিয়ার প্রত্যেকটি শিশু বড় হলেই তাঁকে চাকরির জন্য চাপ দেওয়া হয়, সেখানে দাঁড়িয়ে ময়েন্দে এবং নিকোলাসের গল্পটা অনেকাংশে ব্যাতিক্রমী। প্রবল ইচ্ছে এবং সঠিক সুযোগ থাকলে যে সকলেই সফল হতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়েছে কেনিয়ার এই দুই যুবক।
দেখুন আরও খবর: