ওয়েব ডেস্ক: গাজার (Gaza) বুকে শান্তি স্থাপন এখনও ‘কাঁচের পাথর বাটি’র মতো একটা কল্পনীয় ভাবনার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়ে বেশ উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে। শনিবার তিনি দাবি যে, গাজা থেকে ইজরায়েলের (Israel) সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের (Hamas) তরফে পণবন্দি মুক্তির রূপরেখা নাকি তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। ট্রাম্প এও দাবি করেছেন, ইজরায়েল ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এখন শুধু হামাস সম্মতি জানালেই যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) এবং বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে।
শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “সমঝোতার পর ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। আমরা সেই মানচিত্র হামাসের কাছেও পাঠিয়েছি। ওরা সম্মতি দিলেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। বন্দি বিনিময় শুরু হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। তবেই তিন হাজার বছরের এই বিপর্যয় থামবে।” সঙ্গে তিনি একটি ‘প্রাথমিক প্রত্যাহার রেখা’-র মানচিত্রও প্রকাশ করেছেন, যেখানে প্রত্যাহারের সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার! মৃত অন্তত ৩০
এর আগে হামাসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, “আমি আর দেরি মেনে নেব না। দেরি হলে গাজা আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। হামাস যদি দ্রুত রাজি না হয়, তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যেতে পারে।” সেই সময় তিনি গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০ দফা প্রস্তাব দেন, যা ইজরায়েল প্রাথমিকভাবে মেনে নেয়। এর পর হামাসকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারিও দেন যে, প্রস্তাব না মানলে ‘নরক যন্ত্রণা’ ভোগ করতে হবে।
ট্রাম্পের দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে হামাস একটি বিবৃতি দিয়ে প্রস্তাবের প্রতি আংশিক সমর্থন জানায়, যদিও কয়েকটি বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়। এর মধ্যেই শনিবার ফের গাজায় বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েল। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারান। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতি এখন কেবল হামাসের সম্মতির অপেক্ষায়।
দেখুন আরও খবর: