ওয়েব ডেস্ক: ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি (Syria Unrest)। ইতিমধ্যে দেশটির উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই (Civil War) চললেও, বিশেষ করে টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু আলাওয়াইট সম্প্রদায়কে। সিরিয়ার উপকূলবর্তী লাটাকিয়া ও টারটস এলাকায় বসবাসকারী এই সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর লাগাতার আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পরিচয়পত্র দেখে আলাওয়াইটদের চিহ্নিত করে হত্যা করা হচ্ছে। অনেক গ্রামে মৃতদেহ স্তূপাকার হয়ে রয়েছে। এমনকি দেহ সৎকার করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কেন আক্রান্ত এই বিশেষ সম্প্রদায়? আসলে, সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ হল আলাওয়াইট। কিন্তু বাশার আল-আসাদের শাসনকালে তারা প্রশাসনিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আসাদ নিজে এই সম্প্রদায়ের হওয়ায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে আলাওয়াইটদের প্রভাব ছিল।
আরও পড়ুন: “ক্ষমতায় সুদখোর, জঙ্গিনেতা ইউনুস,” কেন এমন বললেন হাসিনা?
তবে সিরিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি জনগোষ্ঠী আলাওয়াইটদের এই প্রভাব মেনে নিতে পারেনি। আসাদের পতনের পর যখন গোঁড়া সুন্নি গোষ্ঠী এইচটিএস সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন থেকেই আলাওয়াইটদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে। এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, অনেক আলাওয়াইট পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরে নতুন করে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সংঘর্ষের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে, বৃহস্পতিবার জাবলেহ্ শহরে একটি অভিযুক্তকে ধরতে গেলে আসাদপন্থীরা সরকারি বাহিনীর অভিযান প্রতিহত করার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই দেশব্যাপী অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। সিরিয়ায় ব্রিটিশ পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে ৭৪৫ জন সাধারণ নাগরিক, ১২৫ জন সরকারি ও নিরাপত্তা আধিকারিক এবং আসাদের অন্তত ১৪৮ জন অনুগামী নিহত হয়েছেন।
দেখুন আরও খবর: