কলকাতা: বাংলাদেশে (Bangladesh) সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoykrishna Das) গ্রেফতারের (Arrest) ঘটনায় ন্যায় বিচারের আশাতেই বসে রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভারত ন্যায় বিচারের আর্জি জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জি ফের খারিজ করেছে বাংলাদেশের আদালত। ইসকনের প্রাক্তন সদস্য চিন্ময়কৃষ্ণ সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় সরব ছিলেন। সেজন্য তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে আইনজীবীদের সাহায্য নিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনায় প্রতিবাদ মুখর সারা বিশ্বে থাকা হিন্দুরা। ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও হেলদোল নেই।
শুরুটা হয়েছিল গত পাঁচ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে। সে দেশে থাকা সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর নির্যাতন নেমে আসে। বাড়ি, উপাসনালয়ে ভাঙচুর, মারধরের ঘটনা ঘটে। গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর এই নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবাদ হয় আন্তর্জাতিকস্তরে। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে জেলে দেখা করতে যাওয়ায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘে দরবার করে পদ্মাপাড়ের দেশে শান্তিসেনা পাঠানো হোক। ব্রিটেনের সংসদেও বিষয়টি ওঠে। ইসকনের তরফে বিভিন্ন দেশে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়। কিন্তু, তারপরেও কী দেখা গেল কোনও হেলদোল নেই ইউনুস প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: আবেগঘন ভাষণে ধীরুভাই আম্বানিকে স্মরণ পুত্রবধূর
বাংলাদেশ এই সপ্তাহেই বার্তা দিয়েছে, ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী কোনও কাজ তারা করতে চায় না। কিন্তু ইউনুস চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না। কোনও সদর্থক পদক্ষেপও করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি। এই প্রেক্ষিতে এদিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কণ্ঠে শোনা গেল, ন্যায় বিচারের আর্জি জানাচ্ছি।
দেখুন অন্য খবর: