ওয়েব ডেস্ক: প্রতিটা স্টলে উদ্ভাসিত সরস্বতী (Saraswati)। তার সামনে পুষ্পাঞ্জলির অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে ভক্ত ছাত্র ছাত্রীরা। বইমেলার সঙ্গে আড়ি করে রীতি পাল্টে এবার বিদায় নিয়েছে শীত (Winter)। বাতাসে বসন্তের হাওয়া। নানা রংয়ের প্রতিমা উঁকি দিচ্ছে স্টলে থরে থরে সাজানো বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে। ছাত্র জীবন। পকেট হাল্কা। তাই এ বই ও বইয়ে কয়েক পাতায় চোখ বুলিয়ে স্বাদ মেটানো। মোবাইলে ডিজিটালে স্টল খুঁজে নতুন বইয়ের গন্ধ মেখে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে বইয়ের ভুবনে পাড়ি দেওয়া। এক লেখকের সঙ্গে কথা বলা। এক সরস্বতীকে প্রণাম করা। আরেকটি স্টলে যেন নতুন মণ্ডপে প্রবেশ। এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা (Kolkata International Book Fair 2025) প্রথম রবিবারেই অনোন্য হয়ে উঠল। এদিন অনেকে স্কুল, কলেজে বাগদেবীর আরাধনা সেরে বইমেলায় গিয়েছে। বাড়ির কাছে মণ্ডপে সরস্বতীর আশীর্বাদ নিয়ে হাজির বাস্তবের বিদ্যার আরাধনায়। তারই মধ্যে চলেছে খাওয়া, হুল্লোড়। নতুন বই প্রকাশ করতে আসা লেখকদের সামনে থেকে দেখার হিল্লোল। মেলা জুড়ে নব হরষে হলুদ পাঞ্জাবি, বাসন্তী রঙের শাড়ির ছুটোছুটি। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের মেলা আক্ষরিক অর্থে যেন এদিন হয়ে ওঠে পুজো পার্বণ। তায় ছুটির দিন রবিবার। ফলে আট থেকে আশি। এদিন মেলা চত্বর ছিল জমজমাট। তবে শীত বিদায় নেওয়ায় দুপুরের দিকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে। বিকেলের পর থেকে ভ্যালেন্টাইনস ডের মুডে ছিলেন বইপ্রেমীরা।
বইমেলা প্রতিবারই নতুন বই হাজির করে। প্রতিটা বই পড়ার অর্থ সেই লেখকের সঙ্গে কথা বলা। তাঁর অভিজ্ঞতা, আবেগে নিজেকে বর্তমান সময়ের নিরিখে ভিজিয়ে নেওয়া। এই ডিজিটাল যুগে ছাপা বইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এবারও প্রচুর নতুন বই ছাপা হয়েছে। তবে বাংলা বইয়ের আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের স্টল না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বইমেলা ভ্রমণকারীদের অনেকেরই মন খারাপ ছিল এদিন। জার্মানির প্যাভেলিয়ানে এবার ভালো ভিড় জমে। থিম কান্ট্রিকে নিয়ে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: এআইয়ের সরস্বতী প্রতিমা কী পুজো হবে এবার? বইয়ের বদলে ট্যাব, ল্যাপটপ বাগদেবীর চরণে?
সোমবারও এবার সরস্বতী পুজো। সেদিনই বেশি সংখ্যায় প্রতিমার পুজো হবে। ফলে বই পার্বণ ও সরস্বতী পুজো উদযাপনে আরেকটি এরকম সুন্দর দিন উপহার পাবে ছাত্র ছাত্রীরা। যা ৪৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
দেখুন অন্য খবর: