ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পান্না (Panna) এমনিতেই হীরের (Diamond) জন্য বিখ্যাত। সেখানে খনন করে হীরে পাওয়া এবং তা থেকে ভাগ্য বদলে যাওয়া- এরকম ঘটনা হেমাশাই শোনা যায়। সেই আশাতেই দুই বন্ধু – সতীশ খাটিক এবং সাজিদ মহম্মদ একটি খনি লিজে নিয়েছিলেন। আর্থিক সংকট কাটিয়ে বোনদের বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করাই ছিল তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য। অবশেষে দুই বন্ধুর সেই ইচ্ছে পূরণ হল। জমি খুঁড়তে খুঁড়তে মিলল ১৫.৩৪ ক্যারাটের এক বড়সড় হীরে, যার দাম আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা।
রানিগঞ্জের বাসিন্দা সতীশ ও সাজিদ দু’জনেই সাধারণ পরিবারের ছেলে। সতীশের একটি ছোট মাংসের দোকান চালান, এদিকে সাজিদ কাজ করেন ফলের স্টলে। সাজিদের দাদু এবং বাবা বহু বছর ধরে হীরের খোঁজে খনিতে কাজ করেছিলেন, কিন্তু তেমন বড় হীরে তাঁর হাতে আসেনি। অবশেষে তাঁর স্বপ্নকেই বাস্তবে পরিণত করল নাতি।
আরও পড়ুন: ডিভোর্সে বিরক্ত পুরোহিতরা! বিখ্যাত এই মন্দিরে বন্ধ হল বিয়ে
‘সিটি অব ডায়মন্ডস’ (City of Diamonds) নামে খ্যাত পান্না শহর বহু মানুষকে রাতারাতি ভাগ্যবান করেছে। সূত্র বলছে, পান্না জেলার আনুমানিক হীরের মজুত ১২ লক্ষ ক্যারাট। ব্রজেন্দ্র কুমার শর্মা, বিনোদ ওমরে, রামকরন নায়ক, সুর্যভান সিং, গুলাব সিং এবং পুষ্পেন্দ্র পাঠক জুন মাসে একটি ছোট খনি লিজ নিয়ে খনন শুরু করেছিলেন। গত মাসেই তাঁরা সেখানে পাঁচটি হীরে খুঁজে পান, যার মধ্যে তিনটি ছিল বহুমূল্য, সেগুলির মোট মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, এবছর এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি হীরে জমা পড়েছে পান্না ডায়মন্ড অফিসে।
আসলে পান্না স্বল্প খরচে খনির লিজ নিয়ে এভাবেই কোটি টাকার খোঁজ পেয়েছেন অনেকেই। সেখানে বছরে মাত্র ২০০ টাকায় ৮ মিটার চওড়া খনির প্লট লিজ দেওয়া হয়। তিন মাস অন্তর হয় হীরের নিলাম, যেখানে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। নিলামে বিক্রয়মূল্যের ১২ শতাংশ দিয়ে হয় সরকারকে। বাকি টাকা পান হীরের সন্ধানকারীরা।
দেখুন আরও খবর:







