ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি (BJP) শাসিত বিহারে (Bihar) নিষিদ্ধ হয়েছে মদের বিক্রিবাটা। ইতিমধ্যে ‘শুষ্ক’ রাজ্যের (Dry State) তকমা পেয়েছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) বিহার। কিন্তু তাতে কী! এখনও যে সেখানে রমরমিয়ে মদের কেনাবেচা হয়, তা এক স্কুল শিক্ষকের কাণ্ড-কারখানা দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার মিনাপুরে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে (Republic Day Program) ঘটল একটি লজ্জাজনক ঘটনা। মদের নেশায় মত্ত (Drunk Teacher) অবস্থায় পতাকা উত্তোলন করতে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তারপরেই ঘটে হুলুস্থুল কাণ্ড।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে স্কুলে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমারকে পতাকা উত্তোলনের জন্য মঞ্চে ডাকা হয়। কিন্তু মত্ত অবস্থায় টলতে টলতে মঞ্চে ওঠেন তিনি। যে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, সেখানে প্রধানশিক্ষকের এমন আচরণ দেখে হতবাক হয়ে যান গ্রামবাসীরা। তাঁরা পুলিশ এবং স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক রাজীব কুমারকে খবর দেন। পুলিশ এসে প্রধানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর শ্বাস-পরীক্ষা ও অন্যান্য মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যেই বন্ধ হচ্ছে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প!
গ্রেফতারের আগে প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার পুলিশের কাছে দাবি করেন যে, তিনি ‘অসহায়’ হয়ে মদ্যপান করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। স্কুলের মিড ডে মিলের জন্যও বরাদ্দ অর্থ পাইনি। আমার সংসার এবং স্কুল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চরম হতাশার মধ্যে পড়ে বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিয়ে মদ খেয়েছি।”
তাঁর এই দাবি যেন রাজনৈতিক বিতর্কে ঘি ঢেলে দেয়। ঘটনাটি নিয়ে আরজেডি বিধায়ক রাজীব কুমার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “প্রধানশিক্ষকের এমন আচরণ লজ্জাজনক। এটি প্রমাণ করে যে, বিহারে মদ নিষিদ্ধকরণ কতটা ব্যর্থ হয়েছে। আসলে রাজ্যের সর্বত্র মদ সহজেই পাওয়া যায়।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নীতীশ কুমারের সরকার বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিল। আইন অনুযায়ী, রাজ্যে মদ তৈরি, বিক্রি এবং পান করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। কারণ, বেআইনি মদ চোরাচালান এবং চোলাই মদ বিক্রির মতো ঘটনাগুলি নিয়মিত শিরোনামে এসেছে। এমনকি মদ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যে চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
দেখুন আরও খবর: