ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথগ্রহণের এক সপ্তাহ না যেতেই তাঁকে ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করার লক্ষ্যে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পকে এদিন তাঁর ঐতিহাসিক জয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক (India-USA Relation) আরও মজবুত করার কথাও হয়েছে দু’জনের মধ্যে।
সোমবার মোদিও সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, “আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত হলাম। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানালাম। আমরা পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।”
আরও পড়ুন: বিপাকে ইউনুস প্রশাসন, বন্ধ মার্কিন সহায়তা, চাপ বাড়ালেন ট্রাম্প
উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়কালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন একাধিকবার প্রকাশ্যে মোদিকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছেন। সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালের টেক্সাসের হিউস্টনে হওয়া ঐতিহাসিক ‘হাউডি মোদি’ সভা। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে মোদি ট্রাম্পের প্রতি তাঁর আস্থা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “আব কি বার ট্রাম্প সরকার।”
Delighted to speak with my dear friend President @realDonaldTrump @POTUS. Congratulated him on his historic second term. We are committed to a mutually beneficial and trusted partnership. We will work together for the welfare of our people and towards global peace, prosperity,…
— Narendra Modi (@narendramodi) January 27, 2025
এদিকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দিনের ভারত সফরে এসে ট্রাম্প গুজরাটের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদির নামে পুনর্নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধনে অংশ নেন। লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতে মোদি তখন বলেন, “আমি এবং ট্রাম্প নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেব।” তাই এবার দ্বিতীয়বারের মেয়াদ শুরুর পরে মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।
দেখুন আরও খবর: