ওয়েব ডেস্ক: এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় নথি জালিয়াতি (Forgery of Documents) রুখতে বড়সড় নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরর দফতর এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে, এসআইআর চলাকালীন কেউ সরকারি নথি বা পরিচয়পত্র জালিয়াতি করলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এর ফলে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিএনএস-এর ৩৩৭ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্ম, বিবাহ বা মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, সরকারি কর্মচারীর দেওয়া শংসাপত্র কিংবা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি জাল করার ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসআইআর-এর ক্ষেত্রেই সেই একই আইনই বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: BLO-দের ওপর অতিরিক্ত চাপ নয়, সুপ্রিম সতর্কতা নির্বাচন কমিশনকে
পাশাপাশি, ভুয়ো ভোটার শনাক্তকরণে এআই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, প্রতিটি ভোটারের নাম, ছবি-সহ সব তথ্য এআই-এর সাহায্যে সূক্ষ্মভাবে স্ক্যান করা হবে। কোনও তথ্যের গরমিল থাকলে, তা সহজেই ধরা যাবে। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতেও এই প্রযুক্তি সাহায্য করবে বলে দাবি কমিশনের।
এদিকে, আর মাত্র দু’দিন পরই কমিশনের ওয়েবসাইটে এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর তালিকা সংশ্লিষ্ট দাবি-আপত্তি জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইআরও-রা সমস্ত অভিযোগ যাচাই করবেন, প্রয়োজনে শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডাকবেন, এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
দেখুন আরও খবর:







