Saturday, August 23, 2025
HomeScroll৩ মাসের মধ্যেই ‘ভুতুড়ে ভোটার’ কাণ্ডের সমাধান, আশ্বাস কমিশনের

৩ মাসের মধ্যেই ‘ভুতুড়ে ভোটার’ কাণ্ডের সমাধান, আশ্বাস কমিশনের

ওয়েব ডেস্ক: ভোটার লিস্টে ‘ভুতুড়ে ভোটার’ (Fake Voter) নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission Of India) সাহায্য নিয়ে রাজ্যের ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ যুক্ত করছে। তাঁর দাবি, অনলাইন পদ্ধতিতে নাম তোলার সুযোগ নিয়ে একাধিক রাজ্যের ভোটারদের বাংলার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত।

তবে এই বিতর্কের মাঝেই বড় আশ্বাস দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিল যে, আগামী তিন মাসের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের সমস্যার সমাধান করা হবে। একইসঙ্গে কমিশন স্পষ্ট করেছে, শুধুমাত্র একই এপিক নম্বর থাকলেই কোনও ভোটারকে ভুয়ো বলে চিহ্নিত করা যাবে না।

আরও পড়ুন: জ্ঞানী জৈল সিং ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সমাধির পাশেই বসবে মনমোহন সিংয়ের স্মারক

এর আগে মমতা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দিল্লি অফিস থেকে আধার কার্ডের কেলেঙ্কারি করে বাংলার ভোটারদের সঙ্গে রাজস্থান, বিহার ও হরিয়ানার ভোটারদের নাম জুড়ে দিচ্ছে। তাঁর দাবি, প্রায় প্রতিটি বিধানসভায় ২০ থেকে ৩০ হাজার ভূতুড়ে ভোটার ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে, কিন্তু বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখলের ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আরেকটি গণ জাগরণ ঘটানো হবে।”

নির্বাচন কমিশন অবশ্য পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, একই এপিক নম্বর থাকলেও ভোটারদের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোট কেন্দ্র আলাদা হতে পারে। তবুও, ডুপ্লিকেট এপিক সমস্যা সমাধানে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে এই জটিলতা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই আশ্বাস কতটা বাস্তবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

দেখুন আরও খবর: 

Read More

Latest News