Sunday, August 24, 2025
HomeJust Inবন্ধুর নয় বন্ধু, বাংলাদেশকে আগের মতোই উন্নয়ন সাহায্য ভারতের, বরাদ্দ ১২০ কোটি

বন্ধুর নয় বন্ধু, বাংলাদেশকে আগের মতোই উন্নয়ন সাহায্য ভারতের, বরাদ্দ ১২০ কোটি

ওয়েব ডেস্ক: বন্ধু বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে সম্পর্ক আগের চেয়ে বন্ধুর। বিশেষ করে গত পাঁচ অগাস্ট শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে ভারত বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে (India)। মহম্মদ ইউনুসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন নেমে আসে। ভারত তা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বার্তা দেয়। যার ফলে গঙ্গা-পদ্মায় বইয়ে যাওয়া জলের একই সুর তাল-ছন্দ হারায়। তারই মধ্যে পাকিস্তান সেখানে ঘাঁটিগাঁড়া শুরু করে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা সফরও সেরেছেন। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা চাপ বাড়িয়েছে বাংলাদেশের উপর। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাজেটে ভারত বার্তা দিল প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই চলছে। শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অন্যান্য দেশে উন্নয়নমূলক সাহায্যে বরাদ্দ কাটছাঁট বা বাড়া-কমা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের জন্য আগের অর্থ বর্ষের মতোই অর্থ সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবার। ১২০ কোটি টাকা ধার্য হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। তবে ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫৭.৬৩ কোটি টাকা।

মালদ্বীপের জন্য অর্থ সাহায্য গত বছর কমানো হয়েছিল। এবার তা ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিতর্কিত অধ্যায় পেরিয়ে অন্যান্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে মালদ্বীপে উন্নয়ন মূলক সাহায্য সব চেয়ে বেশি। মালদ্বীপের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা লাক্ষাদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছিলেন। তারপরই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গিয়েছিল। মালদ্বীপের জন্য ২০২৫-২৬ সালে বাজেট ধার্য হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছিল ৪৭০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: KYC- তে সুরক্ষাকবচ, বাজেটে বিশেষ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

তবে বাজেটে প্রস্তাবিত বরাদ্দ সব থেকে বেশি ছোট্ট প্রতিবেশি ভুটানের জন্য। ২১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া তালিবপান শাসনে চলা আফগানিস্তানের জন্য বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা। নেপালের জন্য ৭০০ কোটি টাকা। বামেদের দখল যাওয়া শ্রীলঙ্কার জন্য বরাদ্দও আগের বারের মতোই ৩০০ কোটি। মায়ানমারের জন্য ৩৫০ কোটি, মঙ্গোলিয়ার জন্য পাঁচ কোটি, মরিশাসের জন্য ৫০০ কোটি, আফ্রিকার দেশগুলির জন্য ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

দেখুন অন্য খবর: 

Read More

Latest News