ওয়েব ডেস্ক: ডিভোর্সের (Divorce) রমরমায় বিরক্ত মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে এবার মন্দিরে (Temple) বন্ধ হল বিয়ে দেওয়ার রীতি। চোল যুগে তৈরি হওয়া বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক সোমেশ্বরা স্বামী মন্দিরের (Someshwara Swami Temple) বড় ঘোষণা। বিবাহ-বিচ্ছেদের শতাধিক মামলার বিপাকে পড়েছিলেন মন্দিরের পুরোহিতরা। বিয়ে দেওয়ার পর সেই বিবাহিত দম্পতিদের বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষী হিসেবে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হওয়ায়, মন্দিরের স্বাভাবিক ধর্মীয় কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
হালাসুরু এলাকার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত এই শিবমন্দিরটি বহু যুগ ধরে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পবিত্র বিবাহস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। আগে যেখানে বছরে শত শত দম্পতি এখানে বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন, সেখানেই এখন বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ।
আরও পড়ুন: সারের জন্য হাহাকার! ডবল-ইঞ্জিন রাজ্যে মৃত্যু একের পর এক কৃষকের
মন্দির কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে পুরোহিতদের অন্তত ৫০টি বিবাহ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য দিতে হয়েছে—যেখানে এক দশক আগেও বছরে পাঁচটির কম এমন ঘটনা ঘটত। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জেরে পুরোহিতদের প্রায়দিনই আদালতে যেতে হত। তাতে বিরক্ত হয়ে মন্দির প্রশাসন বিয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
মন্দির কমিটি জানিয়েছে, অনেকে পরিবারকে না জানিয়ে পালিয়ে এসে বিয়ে করছিল এবং ভুয়ো নথি জমা দিচ্ছিল। পরে পরিবারের বিরোধ, অভিযোগ, এমনকি মামলা পর্যন্ত গড়াচ্ছিল। এতে পুরোহিতদের হয়রানি তো হচ্ছিলই, পাশাপাশি মন্দিরের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছিল। সেই কারণেই প্রাচীন বিয়ের রীতি বন্ধ রাখা হয়েছে এই মন্দিরে।
দেখুন আরও খবর:







