ওয়েব ডেস্ক: ফের যৌন নির্যাতন (Sexual Harassment) ও খুনের (Murder) ঘটনার জেরে খবরের শিরোনামে ওড়িশা (Odisha)। তবে এবার মহিলা নয়, সহপাঠীদের যৌন লালসার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হল এক নাবালক কিশোরকে। মাদ্রাসায় (Madrasa) ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা। শুক্রবার নয়াগড় জেলার রানপুর থানা অন্তর্গত নীলপল্লী গ্রামে একটি পরিত্যক্ত ট্যাঙ্ক থেকে নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওড়িশায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই নাবালকের উপর প্রথমে যৌন নির্যাতন করা হয় এবং পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁর মৃতদেহ ওই ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত নাবালককে তাঁর সহপাঠীরাই একাধিকবার তাঁর উপর অপ্রাকৃতভাবে যৌন নির্যাতন চালায়। এরপর তাঁকে খুন করা হয়। ইতিমধ্যে মৃত নাবালকের পাঁচ সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল রোপওয়ে! কালী মন্দিরের সামনেই প্রাণহানি গুজরাতে
পরে জানা যায়, অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে একজন নিয়মিতভাবে নির্যাতিত কিশোরের উপর যৌন নির্যাতন করত। ৩১ অগাস্ট ওই সহপাঠী জোর করে ছেলেটির উপর নির্যাতন চালায় এবং তাঁকে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলার চেষ্টা করে। তবে সেদিন সে কোনওভাবে পালিয়ে বাঁচে। এই ঘটনার দু’দিন পরে, ২ সেপ্টেম্বর সকালে একই সহপাঠী আরও তিনজনকে নিয়ে আবারও ছেলেটির উপর হামলা চালায়। এরপর তারা শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহটি মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।
দেহ উদ্ধারের পর ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারা অনুযায়ী পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালকদের শিশু আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, নির্যাতিত ও মৃত কিশোরকে বিচার পায়িয়ে দিতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দেখুন আরও খবর: