ওয়েব ডেস্ক: আজকের রাজনৈতিক আঙিনায় দলবদল খুব সাধারণ ব্যাপার। এক দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যে কোনও মুহূর্তে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দলে চলে যেতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই দলবদলু নেতা তাঁর সাংবিধানিক পদ ছাড়েন না। এ নিয়েও রাজনৈতিক তরজা চলে। এবারে একই ধরনের এক ঘটনায় বড় রায় দিল কেরালা হাইকোর্ট (Kerala High Court)। আদালত জানিয়েছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক আনুগত্য বা দল বদলালে অবশ্যই পদত্যাগ করে জনগণের রায় নতুন করে নিতে হবে।
বিচারপতি পি ভি কুনহিকৃষ্ণণের (Justice P. V. Kunhikrishnan) অভিমত, গণতন্ত্রের নৈতিকতা অনুযায়ী রাজনৈতিক আনুগত্য বদল করতে চাইলে জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই পদত্যাগ করে ভোটে দাঁড়াতে হবে। ভোটে দাঁড়ানোর সময় জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁকে এমন পদক্ষেপ করতেই হবে। না হলে তা হবে জনগণের প্রতি প্রবঞ্চনা বা জালিয়াতি। এটাই গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। কেরালার (Kerala) কুথাটুকুলাম নগর সভার এক মহিলা কাউন্সিলরকে হেনস্থার অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনের সূচনা, অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনও প্রার্থীকে পরাজিত করা ইভিএম (EVM) বা ব্যালট পেপারের (Ballot Paper) মাধ্যমেই হওয়া উচিত। অস্ত্রের ব্যবহার করে বা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাহায্যেই হারজিত নির্ণয় হবে। এক্ষেত্রে দুই পক্ষই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের সামনে না গিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এলডিএফ ও ইউডিএফ-এর সমালোচনা করে মন্তব্য আদালতের।
উল্লেখ্য, ওই পুরসভায় ক্ষমতাসীন এলডিএফ-এর টিকে থাকা সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের ভোটের উপর নির্ভরশীল ছিল। কারণ ক্ষমতাসীন ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তফাৎ ছিল মাত্র একটি আসনের।
দেখুন অন্য খবর: