ওয়েব ডেস্ক: ফের আসন সমঝোতা (Seat Sharing) নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি মহাগঠবন্ধনের (Mahagathbandhan) অন্দরে। বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে আরজেডি (RJD) শিবিরে শুরু অস্বস্তি। হয়তো বিহারের (Bihar) মাটিতে এবার নিজের দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রচারে নামতে হতে পারে লালুপুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। দেশের রাজনীতিতে এই ঘটনা বিরল। আর সেটাই এবার হয়তো হতে চলেছে বিহারের বুকে। দারভাঙ্গা জেলার গৌড় বৌড়াম বিধানসভা আসনে আরজেডি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার করতে পারেন দলের সুপ্রিমো। কিন্তু কেন? চলুন ঘটনাটি একটু বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন বন্টনের জট কাটাতে গিয়ে মহাগঠবন্ধনের শরিকরা অনেক জায়গাতেই ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। ফলে, জোটের বিভিন্ন সহযোগী দলের মধ্যে একাধিক আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-এর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে গৌড় বৌড়াম আসনের ঘটনাটি অদ্ভুত। ঘটনার সূত্রপাত হয় আসন বন্টন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই। আরজেডি নেতৃত্ব গৌড় বৌড়াম আসন থেকে আফজল আলি খানের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। টিকিট পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত আফজল খান তৎক্ষণাৎ নিজের কেন্দ্রে পৌঁছে প্রচার শুরু করে দেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু মেয়েদের জিমে যাওয়ার দরকার নেই, নিদান BJP বিধায়কের
কিন্তু এরই মধ্যে আরজেডি ও বিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP)-র মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গৌড় বৌড়াম আসনটি দেওয়া হয় বিকাশশীল ইনসান পার্টিকে। মহাগঠবন্ধনের সব শরিক দলের প্রার্থী সন্তোষ সাহনির পক্ষে প্রচার করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কারণে আফজল আলি খানকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয় আরজেডি। কিন্তু তিনি তা মানতে অস্বীকার করেন এবং আরজেডি-র প্রতীকেই মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন জানায়, তিনি যেহেতু বৈধ কাগজপত্রসহ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাই তাঁকে প্রতিযোগিতা থেকে সরানো সম্ভব নয়।
ফলে, এখন ইভিএম-এ আফজল আলি খানের নামের পাশে থাকবে আরজেডির লণ্ঠন, অথচ তেজস্বী যাদব নিজেই ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার করবেন। কারণ আসন সমঝোতার নিয়মানুযায়ী বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রার্থী সন্তোষ সাহনির পক্ষে প্রচার করতে হবে আরজেডিকে। এমন ঘটনা দেশে বিরল।
দেখুন আরও খবর: